আ’লীগ নেতা শাহেদের প্রতারণার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল র‍্যাব

আ’লীগ নেতা শাহেদের প্রতারণার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল র‍্যাব

করোনা চিকিৎসায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য, রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ শাহেদের প্রতারণার মামলার তদন্তভার র‍্যাবকে দেয়া হয়েছে। এতদিন মামলার তদন্ত করছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিল র‌্যাবের প্রতিনিধি দল।

মামলার বিষয়ে বৈঠক করতে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান সারওয়ার বিন কাশেম ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

বর্তমানে মো. শাহেদের মামলাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। সেই মামলাটিই তদন্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল র‌্যাব।

করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গত ৬ জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব।

মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন শাহেদ। ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে সেখানে থেকে তাৎক্ষণিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। এরপরে ১৬ জুলাই শাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।