থানায় বিস্ফোরণে জড়িত শহীদুলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ?

থানায় বিস্ফোরণে জড়িত শহীদুলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ?

রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কথিত তিন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা। তবে, তাদের দুদিন আগেই পুলিশ আটক করেছিল পরিবারের এমন অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দেয়নি পুলিশ।

রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কথিত তিন ভাড়াটে খুনির একজন শহিদুল। পুলিশের দাবি, ২৯ তারিখ ভোরে পল্লবী কবরস্থান এলাকা থেকে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু গ্রেফতার তিনজনের একজন শহিদুলের পরিবারের দাবি, ২৭ তারিখ বিকেলেই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থানায় আটকে রেখে অস্ত্র ও বোমা বিস্ফোরণের নাটক সাজানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী শহিদুল পরিবারের একজন বলেন, ‘গত ২৭ তারিখে ৩.৫২ মিনিটে আমাদের এলাকার চায়ের দোকান থেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেওয়া হয়। থানায় যোগাযোগ করেছি, তারা বলছে, তারা এই নামে কাউকে ধরেনি। পরে আমরা জিডি করেছি।’

শহিদুলকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে শহিদুলের পরিবার। তুলে নেয়ার সময় দেখেছেন তার শ্বশুরও।

ভুক্তভোগী শহিদুলের শ্বশুর বলেন, ‘২৭ তারিখে যাকে তুলে নিয়ে যায় তার পরদিন কিভাবে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়।’

যদিও পরিবারের এ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যায় পুলিশ। ডিবির কর্মকর্তা শুধু বলেন, রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কথিত তিন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা বলে মনে হয়েছে। আরো তদন্ত হচ্ছে।

বুধবার (২৯ জুলাই) সকালে পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ পুলিশ সহ ৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।