স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের ভাইয়ের ৯ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করেছে দুদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের ভাইয়ের ৯ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করেছে দুদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেনের ভাই মুন্সী ফারুক হোসেনের ব্যাংক হিসাবে থাকা ৯ কোটি পাচারের চেষ্টাকালে তা অবরুদ্ধ করে দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজের সই করা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউ ওই অর্থ অবরুদ্ধ করে।

চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, তার ভাই মুন্সী ফারুক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামীয় এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়।

দুদক জানায়, বিশ্বস্থসূত্রে জানতে পারে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ নামীয়, তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখাসহ বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গিয়ে এবংব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে অন্যত্র স্থানান্তর এবং পাচার করছেন। অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ নামীয়, তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনসহ লেন-দেন অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

এছাড়াও চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে আরও বলা হয়, আহাদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সী ফারুক হোসেনের নামে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখায় ৭ কোটি টাকার এফডিআর যা সুদসহ ৯ কোটি টাকা রয়েছে। প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ওই এফডিআর (৯ কোটি টাকা) ছাড়াও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, মুন্সী ফারুক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনদের নিজ নামীয়, তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে অন্যান্য ব্যাংকে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনসহ সব লেনদেন অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএফআইউকে অনুরোধ জানানো হয়।

বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে শত-শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং জ্ঞাতআয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগটি কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। কমিশন এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলমকে দলনেতা করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে।