পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এটাই শেষ ঘটনা: আইএসপিআর

পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এটাই শেষ ঘটনা: আইএসপিআর

কক্সবাজার ঘটনায় সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশ মহাপরির্দশক স্ব স্ব বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইএসপিআর জানিয়েছে, অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত মর্মাহত। পুলিশও অত্যন্ত মর্মাহত এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এটাই শেষ ঘটনা। এছাড়া এলাকায় মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ টহল পরিচালনা করবে।

আইএসপিআর এর পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩১শে জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর পুলিশ চেকপোষ্টে অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান একজন পুলিশ সদস্যের গুলিতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত মর্মাহত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা গত ৪ঠা আগস্ট থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। ৫ই আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজি সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্ব স্ব বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজি উভয়ই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দায়ভার বাহিনী নিবে না বলে উল্লেখ করেন। ওই ঘটনায় দুই বাহিনীর দীর্ঘদিনের পারস্পরিক সুসম্পর্কে চিড় ধরবে না। সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুবিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে ও সুষ্ঠু তদন্ত কার্যে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবে না এবং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালিত হবে এই মর্মে স্ব স্ব বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

আইএসপিআর আরো জানিয়েছে, অনাকাঙ্খিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশও অত্যন্ত মর্মাহত এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্থ করা হয়েছে এটাই শেষ ঘটনা। ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটবে না। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও মানুষের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল পরিচালনা করা হবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান এবং পুলিশের আইজি উভয়ই সম্মত হয়ে স্ব স্ব বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান আস্থা আরও গভীর ও সুদৃঢ় করবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।