গরু-ছাগলসহ ১০ প্রজাতির প্রাণী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে: চীনা গবেষকদের তথ্য

গরু-ছাগলসহ ১০ প্রজাতির প্রাণী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে: চীনা গবেষকদের তথ্য

করোনা নিয়ে নেই কোনো সুসংবাদ। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত আর আক্রান্তের সংখ্যা। চলছে নানা গবেষণা। তার মধ্যেই আরো ভয়ের খবর দিল চীনের ইউনিভার্সিটি অব হুনান-এর গবেষকরা।

তারা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস শুধু মানুষকেই নয়, সংক্রমিত করতে পারে বিড়াল, গরু, ছাগল, শূকরসহ কমপক্ষে ১০ রকমের প্রাণিকে। এর ফলে ঘুরেফিরে বার বার করোনায় সংক্রমিত হতে পারে মানুষ।

প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউট পরিচালিত একটি জার্নালে জমা দেয়া এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা রিপোর্টে এসব কথা বলেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। রিপোর্টটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়ার আগেই তা দেখতে পেয়েছেন লন্ডনের ডেইলি মেইলের সাংবাদিক। এতে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সিটি অব হুনানের গবেষকরা ২৫১টি ভিন্ন ভিন্ন প্রাণির ফুসফুসের গঠন নিয়ে গবেষণা করেছেন।

গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস শুধু বাদুড়, প্যাঙ্গোলিন আর মানবজাতিকেই সংক্রমিত করে এমন নয়। এই ভাইরাস বিবর্তিত হয় এবং সে কমপক্ষে আরো ১০ রকম প্রাণিকে সংক্রমিত করতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছে বিড়াল, গরু, ছাগল, শূকর, ভেড়া, মহিষ, পায়রা বা কবুতর সহ বেশ কিছু প্রাণি। ফলে এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে যে, মানুষের দেহ থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণিতে সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস। তারপর পোষক দেহের ভিতর বংশ বিস্তার করে আরো প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করে আবার মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে।

গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট সিং-ই গি। এতে সতর্কতা দেয়া হয়েছে, আন্তঃপ্রজাতির মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বড় মহামারির ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৩ সালের সার্স মহামারির সময়ে। ওই সময় ভাইরাস বাদুড় থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছিল। প্রজাতিগুলোর ঝুঁকির তালিকা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় প্রাণীর গ্রহীতা প্রোটিন সেল এসিই২ এর গঠন নিয়ে কাজ করেছেন। এই একই রকম গ্রহীতার মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। তারপর তা সেলের মেশিনারি ব্যবহার করে নিজের অসংখ্য কপি তৈরি করে। যা অন্য সেলকে সংক্রমিত করে।