কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য শুক্রবার চালু হচ্ছে ‘পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন’

কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য শুক্রবার চালু হচ্ছে ‘পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন’

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে মাসের নির্দিষ্ট কয়েকদিন দুই বগি বিশিষ্ট ‘বেতন ট্রেন’ নামক ট্রেনও চলাচল করছে। এমন অবস্থায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য ‘পার্সেল এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ লাগেজভ্যান ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আগামীকাল শুক্রবার (১ মে) থেকে চালু হচ্ছে এ পার্সেল এক্সপ্রেস নামের লাগেজ ভ্যান ট্রেন। যা দিয়ে ঢাকায় আনা হবে কৃষিপণ্য।

আপাতত চট্টগ্রাম-ঢাকা, দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা ও যশোর টাকা এই তিন রুটে পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা রুটে সপ্তাহে ৭ দিন এই ট্রেন চলাচল করবে। য‌শোর-ঢাকা-য‌শোর রু‌টে সপ্তাহে দুই দিন চলাচল করবে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, এক একটি পার্সেল ট্রেনে ভ্যান থাকে ১০-১২টি যাতে পণ্য ধরে ২৩০-২৪০ টন। যদি এই পরিমাণ পণ্যের চাহিদা অন্য কোনো রুটে পাওয়া যায় তবে সেই রুটেও এই পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হবে।

তিনি বলেন, এসব লাগেজ ট্রেন যাত্রাপথে থেমে বিভিন্ন স্টেশন থেকে কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি, চাল, ফলমূল নিয়ে ঢাকায় আসবে। যাতে এই সময়টিতে অন্তত খাবার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়। এই ট্রেনে পোল্ট্রি, ডিমসহ ঢাকায় আসবে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

এক মাসেরও অধিক সময় যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় রেলের লোকসান হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। লকডাউনের এই সময় যেহেতু যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় লসের পাল্লা ভারি হচ্ছে রেলের, তাই কর্মকর্তারা আশাবাদী এই পার্সেল ট্রেনের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে।