কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মানববন্ধন

ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমসহ গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি

ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমসহ গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি

ঢাকা, ২ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল না করে নিজেদের দেয়া পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধন থেকে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মাইদুল ইসলাম, ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলম, কোটা এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় আন্দোলনকারীরা কোটা বাতিল না করে পাঁচ দফার আলোকে সংস্কার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরা প্রথম শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ করেছে কোটা পর্যালোচনা কমিটি তা সব ধরণের চাকরিতে বাস্তবায়নের দাবিও করা হয়। তারা বলেন, আমরা শুধু প্রথম শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে শিক্ষকদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। চবির শিক্ষক মাইদুল ইসলাম নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এই কারণে সে এখন জেলে বন্দী আছে। আমরা তার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।

এসময় তিনি ফটোসাংবাদিক ড. শহীদুল আলমসহ আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত সকল শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানান। অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেনি। তারা কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু এখন কোটা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের উপর দায় চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেসব শিক্ষক নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, এ ধরনের দৃশ্য আমরা স্বৈরাচারী সরকারের আমলেও দেখিনি। কিন্তু যে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেই সরকারের আমলে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি। মানববন্ধনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, আতাউল্লাহ খান, বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।

আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন থেকে তিন দফা উত্থাপন করেন। দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে- কোটা সংস্কার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সকল আটকৃতের মুক্তি, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলকারীদের শাস্তি দেয়া এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কার করা।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০২৩ঘ.)