‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন

ঢাকা, ১৬ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মঙ্গলবার সাড়ে ১২টায় অনশনে বসেন তিনি। আখতার হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থী ২০১৫-২০১৬ সেশনে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৪তম হয়েছিলেন।

অনশনে বসে তিনি আহম্মদ ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ একটি বই পড়ছেন, তার পাশে একটি ছাতা, একটি ব্যাগ, পায়ের নিচে একটি গামছা রয়েছে। তার পেছনে ‘যদি পরীক্ষা শুরুর এক মিনিট আগেও প্রশ্ন পাওয়া যায়, তবুও সেটা প্রশ্নফাঁস’, ‘প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা চাই’, ‘জালিয়াতদের বহিষ্কার চাই’, ‘হোতাদের বিচার চাই’, ‘ অনশন’, ‘প্রশ্নফাঁস!!!? না, মেধাবীদের গলায় ফাঁস এ দায় নেবে কে’ এমন স্লোগান সম্পন্ন প্ল্যাকার্ড রয়েছে।

আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ঘ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে এখানে বসেছি। যে প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেটা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে আপনারা নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করাবেন, এটা আমি মেনে নিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিবেকের জায়গা থেকে বলবো পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় গ্রহণ করা হোক। প্রকৃত মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করা হোক।’

এ সময় তিনি তিন দফা দাবির কথা জানান। তার প্রথম দাবি হল- প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা দিতে হবে। এ পর্যন্ত যারা জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে, তাদের সবাইকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়া এবং ফল প্রকাশ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ। আমরা আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। কে, কী দাবি করছে তা তাদের একান্ত বিষয়।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠেছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া ৭২টি প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। যার প্রমাণ সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। তবে, এ অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৭৩৩ঘ.)