ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলেই ফল প্রকাশ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হয় না: ঢাবি ভিসি

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলেই ফল প্রকাশ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হয় না: ঢাবি ভিসি

ঢাকা, ১৬ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের মীমাংসা না করেই ফল প্রকাশ করা হলেও তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাকে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকরা উপাচার্যকে প্রশ্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের ঘ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ডিজিটাল ডিভাইসে এ প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই রাখার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে ৬ জনকে গ্রেফতারও করেছে। এরপরেও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের সুরাহা না করে ফল ঘোষণা এ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে কি না? এর জবাবে উপাচার্য বলেছেন, ‘কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় না, বরং এটি আরো বিশ্বস্ত হবে। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ভিত্তিতে কাউকে বহিষ্কার করতে পারি না। প্রমাণের ভিত্তিতে সেটা করতে হবে। অচিরেই তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভিসি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। যে যে অবস্থানে চিহ্নিত হবে, তাকে বহিষ্কার করা হবে। কোনও ধরনের জালিয়াতি করে কেউ টিকবে না। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান শক্ত।

তিনি আরো বলেন, প্রশ্নফাঁসের একটি অভিযোগ আসলেও প্রশাসনের বড় সাফল্য যে তাদেরকে আটক করে ফেলেছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় অর্জনও বটে। আমরা গভীরে প্রবেশ করবো। যাকে যে অবস্থায় চিহ্নিত করা হবে, লেখাপড়া শেষ করে সার্টিফিকেট নিয়ে চলে গেলেও তার সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেয়েছি। তারা ডিজিটাল জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে তারা অচিরেই ধরা পড়বে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠিন ব্যবস্থা নেবো। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মানুষের আস্থা আরো বাড়বে।

পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার আমাদের নেই। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নিতে পারবো না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক হাসিবুর রশিদ প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২২০০ঘ.)