ঢাবিতে কোটা আন্দোলনের দুই যুগ্ম আহ্বায়কের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ঢাবিতে কোটা আন্দোলনের দুই যুগ্ম আহ্বায়কের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ঢাবি, ২২ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুই নেতা। এই সংগঠনটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের যাত্রী ছাউনির কাছে তাদের মারধর করা হয়।

মারধরের শিকার দুজনই সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। একজনের নাম আতাউল্লাহ ও অন্যজন রাতুল সরকার।

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘কর্মসূচি শেষে আমরা চলে আসছিলাম। আমরা চারজন মিলন চত্বরের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি, আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, রাতুল সরকার ও তুহিন ফারাবী। ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে আতাউল্লাহ’র ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের চার-পাঁচজন। আমাদের আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রাতুল সরকারকেও তারা মারধর করে। তবে আতাউল্লাহকে বেশি মারধর করা হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তারা মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের ভাষ্য থেকে তিন হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। ছাত্রলীগের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলী রিমন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সোলাইমান হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাকিউর রাফিদ নাফি। এদের মধ্যে আলী রিমন ও জাকিউর রাফিদ নাফি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।

সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রোগ্রাম ছিল। তারা কখন মারধর করল! আমি এখনো এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।’

মারধরের বিষয়ে হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের মতো একটা যৌক্তিক ইস্যুতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা মারধরের শিকার হলাম। জানি না, ছাত্রলীগ এ ধরনের আচরণের মাধ্যমে কী বোঝাতে চায়। তারা হয়তো প্রশাসনকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করতে চায়।’

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬৫০ঘ.)