ছাত্রদল সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ছাত্রদল সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর ওপর  ছাত্রলীগের হামলা

ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল সন্দেহে ছাত্রলীগের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতা ও উচ্চপদস্থ এক সরকারী কর্মকর্তাসহ ৫-৭ জনের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আহতদের কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হামলার ঘটনার বর্ণনায় ভূক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র আতিক জামানের জন্মদিন উপলক্ষে টিএসসিতে তারা কয়েকজন বন্ধু ও আতিকের হলের সিনিয়র ছাত্র ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার বিষয়ক উপ-সম্পাদক কবির মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জড়ো হয়েছিলেন। টিএসসিতে জন্মদিনের কেক কেটে তারা ৭-৮ জন দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। সেখানে ক্যাম্পাসের পরিচিতদের কয়েকজনও তাদের আড্ডায় এসে যোগ দেন।

এমন সময় টিএসসিতে অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৩৫-৪০ জন নেতা-কর্মী তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।

ওই হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহিদুল ইসলাম সজিব গুরুতর আহত হন। হামলা করা হয় ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার বিষয়ক উপ-সম্পাদক কবির মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও সরকারী কর্মকর্তার ওপরও। লাঞ্ছিত করা হয় আইন বিভাগের এক ছাত্রীকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কবির মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম তার পরিচয় দিলেও তা আমলে নেয়নি ছাত্রলীগ। বরং তার মারধর ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হতে হয়েছে সরকারী ওই কর্মকর্তাকেও।

মারধর করা হয় আরও ৩-৪ জনকে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা গিয়ে মারমুখী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাত থেকে কবির ও ওই সরকারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, হামলায় অ্যাডভোকেট সজিবের মাথা ফেটে গেছে। মাথায় চারটি সেলাই করা হয়েছে। এছাড়া পিঠ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়েছে।

‘ইটের আঘাতে’ থেতলে গেছে শরীরের বেশ কিছু অংশ। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কবির ডান চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া অন্য ৩-৪ জন সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটা মবের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সাথে অনেকেই ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগের কেউ যদি জড়িত থাকে সেক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

রাত ১১টার দিকে ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের কিছু হয়ে থাকলে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৮৩৫ঘ.)