ডাকসুর নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া

কেন্দ্রে সিসিটিভিসহ ১ ডজন প্রস্তাব সংগঠনগুলোর

কেন্দ্রে সিসিটিভিসহ ১ ডজন প্রস্তাব সংগঠনগুলোর

ডাকসুর নির্বাচনী আচরণবিধিতে ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নির্বাচনের ব্যয়সীমা নির্ধারণসহ ডজনখানেক বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা-২০১৯-এর খসড়ার বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ‘মতামত ও পরামর্শে’ উঠে এসেছে এসব প্রস্তাব।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি আচরণবিধির খসড়া প্রণয়ন করে। গত ২৩ জানুয়ারি ১৪টি ধারাসংবলিত এ খসড়া আচরণবিধির ওপর মতামত ও সুপারিশ দিতে ছাত্র সংগঠনগুলোকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবারের মধ্যে তাদেরকে লিখিতভাবে সুপারিশ দিতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী শনিবার ছাত্র সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর কাছে তাদের প্রস্তাব দেয়।

অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নিরপেক্ষ শিক্ষকদের সমন্বয়ে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৫ সদস্যের পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন, সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করার অনুমতি ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা আগে নেয়ার সুযোগ, প্রশাসনের উদ্যোগে প্যানেল পরিচিতি সভা করা, তফসিল ঘোষণার পর ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের কোনো প্রকার হয়রানি না করা, ভোট কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের সরাসরি সম্প্রচার ও ভিডিও করার সুযোগ দেয়া ও ডাকসুর সাবেক নেতাদের প্রচারণায় অংশ নেয়ার বিধান রাখা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম রব্বানী শনিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, মতামত ও সুপারিশ প্রদানের শেষ দিনে ছাত্র সংগঠনগুলো লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেছে। প্রক্টর অফিস তাদের লিখিত বক্তব্যগুলো ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করবে।

পরবর্তী সময়ে তিনি এ প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যে প্রস্তাবগুলো গ্রহণযোগ্য হবে, তার সবই গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ যুগান্তরকে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রণয়নে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা কাজ করেছি।

মোট ৪টি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর আচরণবিধির খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলো যেসব প্রস্তাব দিয়েছে আমরা সেগুলোও দেখব। আগামী সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আচরণবিধিটি চূড়ান্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আচরণবিধির খসড়া হয়ে গেছে, এখন তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ এর বাস্তবায়ন। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এদিকে সিন্ডিকেটের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২৯ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আচরণবিধির খসড়ায় যা আছে : খসড়া আচরণবিধিটি ১৪টি ধারায় বিভক্ত। এতে বলা হয়েছে- মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না।

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা, প্রত্যাহার বা নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের যানবাহন, মোটরসাইকেল ও মোটরযানসহকারে শোভাযাত্রা, শোডাউন বা মিছিল করা যাবে না।

প্রার্থী-তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে নির্বাচন দিনের ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে। প্রচারের সময়সীমা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটার বা প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচার চালাতে পারবেন না।

সভা-সমাবেশ-শোভাযাত্রা করার অনুমতি অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে নিতে হবে। এ ধরনের অনুমতি লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সময়ের ক্রমানুসারে দেয়া হবে। নির্বাচনের দিন ক্যাম্পাসে ভোটার ছাড়া বহিরাগত ও অছাত্রদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

গণমাধ্যম কর্মীরা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিসাপেক্ষে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ছবি তুলতে পারবেন। ভোট কেন্দ্র থেকে কোনো ধরনের সরাসরি সম্প্রচারসহ ভোটকার্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে- এমন কোনো কাজ করতে পারবেন না।

খসড়া আচরণবিধিতে আরও বলা হয়, এক প্রার্থী বা একটি প্যানেলের পক্ষে প্রতিটি হলে ১টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি প্রজেকশন মিটিং করা যাবে। হলে অথবা ক্যাম্পাসে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বা রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও কোনো সভা-সমাবেশ-শোভাযাত্রা করতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে- এমন সড়কে জনসভা-পথসভা বা সমাবেশ এমনকি কোনো মঞ্চ তৈরি করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য রিকশা ও বাইসাইকেল ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অন্যসব যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে।

দেয়াল লিখন ও আলোকসজ্জায়ও থাকবে বিধিনিষেধ। পাঠদান বা পরীক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে- এমন কোনো স্থানে সভা-সমাবেশ বা নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না। শ্রেণীকক্ষের ভেতর ও বারান্দায় মিছিল করা যাবে না।

কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং আবাসিক হলে শুধু মিলনায়তনে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে।

প্রতিপক্ষের সভা-সমাবেশ-শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান ব্যাহত বা পণ্ড হতে পারে বা গোলযোগ সৃষ্টি হতে পারে- এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারে কোনো প্রার্থী নিজের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি বা প্রতীক লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে ব্যবহার করতে পারবেন না।

কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনের ভোটার স্লিপ প্রদান করতে পারবেন। তবে কোনো ভোট কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ভোটার স্লিপ বিতরণ করা যাবে না।

আচরণবিধি ভঙ্গের শাস্তি হিসেবে এতে বলা হয়, ‘কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার অথবা রাষ্ট্রীয়/বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্য কোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

ছাত্রলীগের প্রস্তাব : আচরণবিধির বিষয়ে ছাত্রলীগ যেসব প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলোর বিষয়ে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ছাত্র সমাবেশ ও মিলনায়তনের বাইরে ব্যতীত অন্যত্র মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ছাত্রদের ক্লাস-পরীক্ষার সময় যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য এ সময়ে সভা-সমাবেশ করার বিধান যাতে না রাখা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ডাকসুর প্রার্থীদের পরিচয় সভা এবং হল সংসদের ক্ষেত্রে প্রাধ্যক্ষদের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করতে হবে। এ ছাড়া গণমাধ্যমের কাজের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিও আমাদের থাকবে।

ছাত্রদল : প্রস্তাবের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার যুগান্তরকে জানান, তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী ও ভোটারের বাইরে ছাত্র সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ও ডাকসুর সাবেক নেতাদের প্রচারণার সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ভোট কেন্দ্রের গোপন বুথ ছাড়া অন্যত্র লাইভ দেয়া ও ছবি তোলার সুযোগ এবং প্রচারণায় অনুমতির ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমার বিধান শিথিল করাও তাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবি। এ ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের কোনো প্রকার হয়রানি, মামলা দেয়া এবং গ্রেফতার না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।

ছাত্র ইউনিয়ন : ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা (খসড়া)-২০১৯-এর বিভিন্ন ধারায় বেশকিছু সংশোধন ও সংযোজনের দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। এর মধ্যে রয়েছে- ধারা ৪(খ)-এ প্রতিদিন প্রচারণার সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা করতে হবে।

ধারা ৪(গ)-এ ডাকসুর সাবেক নেতাদের প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। ধারা ৫(খ)-এ সভা-সমাবেশ-শোভাযাত্রা করার অনুমতি ৪৮ ঘণ্টা আগে নেয়ার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা আগে নেয়ার সুযোগ দিতে হবে।

ধারা ৫(গ)-এ প্যানেল পরিচিতি সভা প্রশাসনের উদ্যোগে করতে হবে। হল প্রশাসনের উদ্যোগে হল সংসদ প্যানেলের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় প্যানেলের পরিচিতি সভা করতে হবে।

ধারা ৫(চ)-এ ডাকসু নির্বাচন সাধারণ ছাত্রদের নির্বাচন বিধায় ছাত্রদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে ক্লাসের আগে বা পরে ক্লাস ক্যাম্পেইনের সুযোগ দিতে হবে। ধারা ৬(খ)-এ দেয়ালে কোনো প্রচারণা করা যাবে না এবং পূর্ববর্তী যে কোনো দেয়াল লিখন ও চিত্রাঙ্কন মুছে দিতে হবে।

ধারা ১০(ক)-এ ভোট কেন্দ্রসমূহ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে এবং প্রার্থী ও গণমাধ্যমকে চাহিবামাত্র ভিডিও ফুটেজ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাধ্য থাকবেন। এ ছাড়া ধারা ১২ সংশোধনের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, হল প্রশাসন থেকে প্রতিটি ভোটারের নাম, ছবি ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরসংবলিত হলের প্রাধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত ভোটার স্লিপ তৈরি করে তা বিভাগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।

ছাত্র ফেডারেশন : বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন খসড়া আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে যেসব প্রস্তাব জমা দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৪(গ)-এ কোনো ব্যক্তির খ্যাতির মানদণ্ড সুনির্দিষ্ট করতে হবে।

৫(ক)-এ সভা-সমাবেশ-শোভাযাত্রা করার অনুমতি ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পূর্বে নেয়ার বিধান করতে হবে। ৫(গ)-এ একজন প্রার্থী বা একটি প্যানেলের পক্ষে প্রতিটি হলে ১টির পরিবর্তে ৩টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টির পরিবর্তে ৫টি প্রজেকশন মিটিং করার অনুমতি দিতে হবে। ৫(জ)-এ হলসমূহে প্রচারণা রাত ১১টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে।

৬(ঘ)-এ প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ পোস্টারের সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এর বাইরে তাদের দাবি হল- ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে কোনোরূপ বাধা না দিয়ে ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সাংবাদিকদের ছবি তোলা ও ভিডিও করার ব্যবস্থা থাকতে হবে; প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য নির্বাচনের ব্যয়সীমা নির্দিষ্ট করতে হবে; রঙিন পোস্টার করা যাবে না; নির্বাচনী ক্যাম্প বসানো যাবে না; আলোকসজ্জা করা যাবে না; ভোটারদের স্লিপ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ : কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আচরণবিধির বিষয়ে ৪টি প্রস্তাব দিয়েছে।

এগুলো হল- ভোট গ্রহণের সময়কাল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার পরিবর্তে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত করতে হবে; যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ভোট চলাকালীন শিক্ষকদের নিয়ে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৫ সদস্যবিশিষ্ট পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করতে হবে; ভোট কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমের সরাসরি সম্প্রচার কিংবা যে কোনো ধরনের অবাধ প্রচারের মাধ্যম উন্মুক্ত রাখতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগে যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে- সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।