ডাকসু নির্বাচনে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে কাজ করবো না: উপাচার্য

ডাকসু নির্বাচনে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে কাজ করবো না: উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ জাতীয় চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট নামে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয় বরং সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমে আমরা ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের আগে ডাকসুর যে গঠনতন্ত্র আছে, সেটি অনুমোদিত হয়েছে। কোড অব কন্ডাক্ট অনুমোদিত হয়েছে। আমরা এ দুটি দলিলকে সামনে রেখে ডাকসু নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি।’

উপাচার্য আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্নমত ও বিভিন্ন মহলের মতাদর্শকে সম্মান দেয়। আমরা সেই আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে চাই। আজকের বিতার্কিকরা ডাকসুর গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে প্রায় একশ’ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব গাঁথা ও ইতিহাস তুলে ধরেছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে বিতার্কিকরা যে চিন্তা-চেতনা ও যুক্তি তুলে ধরেছেন তা আমাদের ভবিষ্যত নীতি নির্ধারণে সহায়তা করবে।’

ডাকসু নির্বাচনে দল ও মত নির্বিশেষে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয় সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে। ডাকসুর নীতিমালা প্রণয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মতের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তারও একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান প্রয়োজন।’

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক সাব্বির নেওয়াজ, সাংবাদিক মোস্তফা মল্লিক ও সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

এমআই