মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৩ শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ

মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৩ শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কার্মীদের বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের তিন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার ও হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার ওই তিন শিক্ষার্থী ফাহিম, রানা ও শুভ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে অধ্যয়নরত।

পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতের এ ঘটনায় শনিবার ওই তিন শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠিরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এবং বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

ঘটনার সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম শিকদার ও তার সহযোগী আতিক, আনিন্দ্র, মিজান ও রাশেদ জড়িত বলে অভিযোগে তারা জানান। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা আবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রথম বর্ষের ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা শনিবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিবাদ জানান ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর দুইটায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় প্রথম বর্ষের ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা শনিবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিবাদ জানায় ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা তাদের র‌্যগিংয়ের নামে ডেকে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। প্রায় দেড় মাস সিনিয়রদের সম্মান দেখিয়ে তারা চুপচাপ ছিলেন। কিন্তু শিবির আখ্যা দিয়ে রানাকে এবং ফেসবুকে চ্যাট করা নিয়ে ফাহিম ও শুভকে পেটানোর পর তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। এর আগেও ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নতুন পাঁচজন শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হন। আর এ সবের পেছনে নাকি ছাত্রলীগ নেতা সায়েম শিকদার রয়েছেন। সায়েম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের সমর্থক।

বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেওয়ার পর সায়েমসহ অন্যদের বাঁচাতে ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান দলবল নিয়ে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এসে তদবির করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অনুসারীরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ছবি তুলে নিয়ে যান বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এমআই