প্রবেশ গেটের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে: অভিযোগ ছাত্রদলের

প্রবেশ গেটের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের হাতে: অভিযোগ ছাত্রদলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রী ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মেস্তাফিজুর রহমান।

মেস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন প্রার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। গেটগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুরোটা প্রশাসনের হওয়ার কথা থাকলেও আমরা দেখছি পুরো নির্বাচনের পরিবেশ ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে।

সোমবার সকালে হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এফ রহমান হলে গিয়েছিলাম, এখন মহসিন হলে আসছি। একই ধরনের পরিস্থিতি। ভোট কেন্দ্রে কৃত্রিম একটি লাইন তৈরি করে রাখা হয়েছে। লাইনে যারা দাঁড়িয়েছেন তারা অন্য ভোটারদের লাইনে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।’

তবে ছাত্রদলের অভিযোগকে গুজব বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

তিনি বলেন, ‘এখানে সবাই আছেন। লাইনে সবাই দাঁড়াতে পারবেন। লাইনে যারা দাঁড়াবে তারাই ভোটের সিরিয়ালে যাবে। যারা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল, যাদের ভোটার নাই, তাদের এসব অভিযোগ বাংলাদেশে সারাজীবন গুজব বলেই চলে আসছে।’

হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের ভোটার ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।

উল্লেখ্য, এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়বেন ২২৯ জন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৩ জন। এ ছাড়া, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়বেন ৮৬ প্রার্থী।

এমআই