আজ বিকেল ৪টা থেকে আবারো আন্দোলন

ববি শিক্ষার্থীদের সাথে কোটা আন্দোলনকারীদের একাত্মতা প্রকাশ

ববি শিক্ষার্থীদের সাথে কোটা আন্দোলনকারীদের একাত্মতা প্রকাশ

ভিসির পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা চতুর্থ দিনের মতো লাগাতার আন্দোলন করছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে পুনরায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু তাতেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো ভাটা পড়েনি।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে আমরা সাংগঠনিকভাবে একাত্মতা পোষণ করছি। তাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ যৌক্তিক।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, হীন ও বিদ্বেষমূলক (রাজাকারের বাচ্চা) বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে শুধু ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েরই নয় পুরো দেশের ছাত্রসমাজকে ক্ষুদ্ধ ও অপমানিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মতো সম্মানিত ও দায়িত্বশীল পদে থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য শিক্ষাঙ্গণের দুরাবস্থাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। যে শিক্ষকগণের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা নীতি-নৈতিকতা শিখবে তাদের আচরণ এমন হলে শিক্ষার্থীদেরকে তারা কি শিখাবেন?

শিক্ষাঙ্গণে রাজনৈতিক বিবেচনায় লেজুরবৃত্তি রাজনীতি করা শিক্ষক কিংবা প্রশাসক নয়, জ্ঞান-গরিমায় পান্ডিত্যপূর্ণ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব যোগ্য প্রশাসন চাই।’

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে হল ত্যাগ না করে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণাও হল ছাড়ার নির্দেশ উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শফিকুল নামের এক শিক্ষার্থী জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। মাত্র দুইদিনের আন্দোলনে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস, পরীক্ষা, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন।

এমজে/