ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ডাকসুর ভিপি নুরকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি

ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ডাকসুর ভিপি নুরকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ কয়েকজনকে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ‘অবরুদ্ধ’ করে মারধোর করেছে ছাত্রলীগ। ভিপি নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই হলে তাকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ। নুরের সঙ্গে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতারসহ বিভিন্ন প্যানেলের শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নুর ও তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নুর এসএম হলে প্রবেশ করার পরপরই হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তাহসান হোসেন রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের নেতৃত্বে তাদের অবরুদ্ধ করা হয়।

এসময় হল সংসদের অনুমতি না নিয়ে হলে প্রবেশ করায় নুরকে গালিগালাজ করেন হল সংসদের ভিপি কামাল হোসেন এবং জিএস জুলিয়াস সিজার। এক পর্যায়ে নুরের গায়ে হাত তোলেন কামাল। এছাড়াও নুরের সঙ্গে থাকা একজনকে মারধর করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

গত সোমবার রাতে হলের ডাইনিং রুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ফরিদ হাসান। তিনি উর্দু বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী। আহত ফরিদের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ৩২টি সেলাই পড়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফরিদ ছাত্রলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শীর্ষ নেতাদের চাপে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছিল ছাত্রলীগ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে তাকে মারধর করে হল ছাড়া করে ছাত্রলীগ। জানা গেছে, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, সাবেক নেতা মিজানুর রহমান পিকুল ও হল সংসদের জিএস জুলিয়াস জিসারের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। মারধরের আগে রাত ১০টায় ছাত্রলীগের হল কমিটির সভা ছিল। সভা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফরিদ হাসানকে মারধর করে হল ছাড়া করা হয় বলে ছাত্রলীগের একটি অংশের অভিযোগ।

তবে ফরিদকে মারধরে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও হল সংসদের জিএস। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুব জোয়ার্দারকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। আর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি হলের বিষয়। হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমরা হল প্রশাসনকে সহযোগিতা করবো।

এমআই