ঢাবিতে ‘অযৌক্তিক ফি’ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

ঢাবিতে ‘অযৌক্তিক ফি’ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

ল্যাব উন্নয়ন ফির নামে আদায় করা ‘অযৌক্তিক ফি’ প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে ইন্সটিটিউটের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে দাবি বিবেচনার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। তবে ‘অযৌক্তিক ফি’ প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ‘অযৌক্তিক উন্নয়ন ফি নেওয়ার নামে প্রশাসনের প্রহসন মানি না মানবো না’, ‘অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহার চাই’, ‘দাবি মোদের একটাই অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহার চাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। দুপুর ২টার দিকে ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. সৈয়দ মো. শামসুদ্দিনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।

এদিকে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ সকাল ১০টায় ইন্সটিটিউটের একাডেমিক কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে আন্দোলনকারীদের ১০ জনকে প্রতিনিধি হিসেবে যেতে এবং তাদের দাবি তুলে ধরতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ল্যাব উন্নয়ন ফির নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা করে নেয়। এ টাকা কোনো ব্যাংকে নয়, বরং সরাসরি লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের অফিসে ক্যাশ দিতে হয়।

এ বিষয়ে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অর্ণব বলেন, মাস্টার্সে ভর্তি হতে গেলে ল্যাব উন্নয়ন ফি খাতে ২১ হাজার টাকা দিতে হয়। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো বিভাগ বা ইন্সটিটিউটে এ খাতে কোনো টাকা নেয়া হয় না। অথচ আমাদের ইন্সটিটিউটে এ টাকা না দিলে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যায় না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে অন্য সব বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের চেয়ে বেশি বরাদ্দ পায় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট। তারপরও কেন আমাদেরকে অযৌক্তিক খাতে এত টাকা দিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. সৈয়দ মো. শামসুদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এমআই