ঢাবি, ২৪ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের ওপর বাম ছাত্র সংগঠনের হামলা ও অপদস্থ করার অভিযোগ এনে তাদের বহিষ্কারের দাবিসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বুধবার এসব দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেছে তারা। তাদের এ কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে টিএসসির ১২টি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মঙ্গলবার বিকালে বাম ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নিপীড়ন চালিয়ে ‘সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে’ ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তারা চার দফা দাবি জানায়। তাদের দাবিগুলো হলো- উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকের সঙ্গে যারা বেয়াদবি করেছে তাদের বহিষ্কার, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ অন্য বাম নেতাদের ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা, আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিনষ্টকারী বাম সংগঠনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব আইনের মধ্যে চলে। আন্দোলনকারীরা সবাই আমার। তারা যেসব দাবি উত্থাপন করেছে তা যৌক্তিক হলে বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই মেনে নেবে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের কাজ চলছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুতই এর ফলাফল দিতে বলা হয়েছে। কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করে। সেখানে এক ঘণ্টা মানববন্ধন করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন। তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করে রাখেন।
এদিকে মঙ্গলবার নিপীড়ন বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন মিছিল নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে আসার চেষ্টা করে তখন নিরাপত্তার অজুহাতে কার্যালয়ের ফটক বন্ধ রাখা হয়, পরে ফটকটি ভেঙেই কার্যালয়ের সামনে প্রবেশ করে তারা। আর আজ সেই ফটক খোলা রেখে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অনায়াসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এদিকে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন মহসীন হল ছাত্রলীগের সাবেক নাট্য বিষয় সম্পাদক মাহমুদ হাসান, মহসীন হল ছাত্রলীগের সদস্য সিয়াম, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ নেতা সিফাত হোসেন, জহুরুল হক হলের নেতা কাঞ্চনসহ আরো অনেকে।
(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৫০ঘ.)