বিতর্কিত কমিটি নিয়ে ফের মুখ খুললেন ছাত্রলীগের নারী নেত্রী

বিতর্কিত কমিটি নিয়ে ফের মুখ খুললেন ছাত্রলীগের নারী নেত্রী

ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি নিয়ে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংগঠনটির নারী নেত্রী বিএম লিপি আক্তার।

সোমবার দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন- ৩০১ সদস্য কমিটির মধ্যে নারী নেত্রী কতজন রাখা হয়েছে? যতটুকু জানি কমিটিতে মেয়েদের ৭ শতাংশ রাখা হয়েছে।

সারা দেশে কি ৭ শতাংশ মেয়ে ছাত্ররাজনীতি করে? যেখানে প্রধানমন্ত্রী আমাদের আপা শেখ হাসিনা মেয়েদের এগিয়ে দেয়ার পক্ষে, তা হলে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য কমিটিতে মেয়েদের কি অপমান করা হয়নি?

৬১ জন সহসভাপতির মধ্যে চারজন মেয়ে রাখা হয়েছে। ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ১ জন মেয়ে, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ১ জন মেয়ের স্থান হয়েছে- এটি কি আমাদের মেয়েদের সামনে যাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধকতা নয়?

বাংলাদেশের যতগুলো সাংগঠনিক ইউনিট এবং ইনস্টিটিউট আছে, সেখান থেকে কি আরো ৫০ জন মেয়েকে কমিটিতে আনা যেত না? ঢাকার বাইরের থেকে মেয়েরা এসে অনেক কষ্ট করে রাজনীতি করে, বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা খুব আগ্রহ নিয়ে ঢাকা চলে আসে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রত্যেকটি ছাত্রনেতার এমন হওয়া উচিত ছিল, যারা সারা দেশে বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিটে ইতিমধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে অনেক উল্লেখযোগ্য পাবলিক প্রতিষ্ঠান যেমন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী ইউনিভার্সিটিসহ বাংলাদেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজ এবং বাকি কলেজগুলো। পাবলিক ও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলো থেকে নেয়া যেত না?

সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা হলে একসঙ্গে দুটি জিনিস হয়ে যেত; একটি হলো- আওয়ামী লীগের অনুর্বর জেলাগুলো থেকে আনা হতো। এ রকম জেলা থেকে কয়েকজন আনা হয়েছে? এবং প্রত্যেকটি সাংগঠনিক ইউনিট মূল্যায়ন হতো। তারা আরো বেশি সাংগঠনিক হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখত।

এমআই