ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের নব গঠিত কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়া, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ, যোগ্যদের মূল্যায়নসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পদ বঞ্চিতরা।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানের ২০ দিন পার হলেও দলের কেউ খোঁজ নেননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকি ঈদের দিনেও তারা নামাজ শেষ করে আবার অবস্থান স্থলে অবস্থান নেন। এখনো সেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
শুক্রবার বিকালে দেখা যায়, সাবেক উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিটু, সাবেক সহ-সম্পাদক এস এম মামুন। উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক কৃঞ্চ মজুমদার, সাবেক উপ পরিবেশ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ সজীব। কবি জসীম উদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খানসহ আরো অনেকে অবস্থান করছেন।
পদ বঞ্চিত অবস্থানকারী সাবেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আনন্দ সাহা পার্থ বলেন, আমাদের আন্দোলনের মুখে তারা কমিটির ১৯ জনকে বহিস্কার করেছে। কিন্তু এখনো পযর্ন্ত তাদের নাম প্রকাশ না করায় এখন পুরো কমিটি অভিযুক্ত ও বিতর্কিত হচ্ছে।
এছাড়া নতুন কমিটি হওয়ার পর যেখানে সব জেলা ও থানা পর্য়াযে আনন্দ মিছিল হওয়ার কথা তা হয়নি। কারণ তারা জানে নতুন কমিটিতে নিবেদিতদের স্থান হয়নি। স্থান হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিতদের।
ডাকসু ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তানবীর হাসান সৈকত বলেন, আমাদের দাবিকৃত চার দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। শীঘ্রই আমরা আমরণ অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছি। ঘোষণা দিচ্ছি।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর কবীর নানক যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিবেদিত কর্মীদের হতাশ করবে। তিনি এভাবে বলতে পারেন না। দলের বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা ছিলাম নিবেদিত প্রাণ। আমরা আশা করি তার কথার ভুল তিনি বুঝতে পারবেন।
এমআই