রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে একই ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারী বলছেন, তিনি এ ধরণের অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না।

আর অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি করেছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।’

এদিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘আমি আমার বিভাগের শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর দ্বারা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি ও মানুষিকভাবে উত্ত্যক্তের শিকার হই। যার কারণে আমি মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি পড়াশুনা এবং অন্য কোনো কাজেই মনযোগ দিতে পারছি না। মেন্টাল ট্রমায় ভুগছি।’

অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ছাত্রী আরো উল্লেখ করেন, ‘কারণে অকারণে স্যার আমাকে তার অফিসে ডেকে বসিয়ে রাখেন, ফ্রি মাইন্ডের কথা বলে নানা রকম ইঙ্গিতপূর্ণ ও অশালীন কথাবার্তা বলেন, অন্য নারী শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন, শিক্ষক হওয়ার ক্ষমতা দেখাতেন। তিনি আমাকে প্রায়ই রাত ১১টার পর ফোন করে কথা বলেন।’

ওই শিক্ষার্থীর সামনে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষ্ণুকুমার অধিকারী তার এক নারী সহকর্মীর নামে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন অভিযোগ পত্রে। অভিযুক্ত শিক্ষক ইনস্টিটিউটের একাধিক ছাত্রীর সামনে মেয়েদের শরীর সম্বন্ধীয় ব্যাপারে ইঙ্গিত করে নানা অশালীন কথাবার্তা বলা ও কোর্সের নম্বরের কথা বারবার উল্লেখ করে শিক্ষকের ক্ষমতা দেখাতেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

এর আগেও বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের সান্ধ্য কোর্সের একাধিক ছাত্রী হয়রানীর অভিযোগ তুলে তাকে কোর্স থেকে অব্যহতির অনুরোধ জানান পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর। এ কারণে তাকে ওই ব্যাচের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি আর মানসিকভাবে সহ্য করতে না পেরে অভিযোগ করেছি। আমি চাই না ওই শিক্ষক আমার মতো আর কারো সঙ্গে এমন করুক। আমি নায্য বিচার চাই। রেজিস্ট্রার করে ডাকযোগে অভিযোগপত্রের কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ প্রশাসক, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়েছে।’

এমআই