৭ কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় দায়ী : আরেফিন সিদ্দিক

৭ কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় দায়ী : আরেফিন সিদ্দিক

ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষামন্ত্রণালয়কে দায়ী করেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রণালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে একটি অনুশাসন দেন। যে সকল সরকারি কলেজগুলোতে অনার্স এবং মাস্টাস রয়েছে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্ব-অঞ্চলের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় অধিভুক্তি পাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসনটি যথাসময়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর না হওয়ায় বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। টিভিএনএ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন আরেফিন সিদ্দিক।

এই সময়ে তিনি আরো বলেন, অধিভুক্ত সাতটি কলেজ এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যায়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। সর্বশেষে ২০১৭ সালে এসে শিক্ষামন্ত্রণালয় একটা পরিপত্র জারী করে। যেখানে সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রণালয় পরিপত্র জারী করার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ঢাবি কর্তৃপক্ষ কলেজ অধ্যক্ষদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে, সার্বিক বিবেচনা করে কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি প্রধান করে। এখন সেই অধিভুক্তি অনুযায়ী কলেজগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

দেশের উচ্চশিক্ষার স্বার্থ রক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে। কিন্তু ২০১৪ সালে দেওয়া সরকার প্রধানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কেন এত বিলম্ব হয়েছে বিষয়গুলো এখন খতিয়ে দেখা দরকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান সহিংসতা নিয়ে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বর্তমান চলমান সহিংসতাগুলো সমন্বয়ের অভাবে হচ্ছে। অতীতেও এই ধরনের বহু সঙ্কট আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। তাই বর্তমান প্রশাসনের উচিত সকলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৫০ঘ.)