ঢাবির তিন সদস্যের ভিসি প্যানেল চূড়ান্ত, সাদা দলের বর্জন

ঢাবির তিন সদস্যের ভিসি প্যানেল চূড়ান্ত, সাদা দলের বর্জন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে তিন সদস্যের ভিসি প্যানেল চূড়ান্ত হয়েছে। নির্বাচনে না গিয়ে মনোনয়নের মাধ্যমে এ প্যানেল নির্বাচন করা হয়।

বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের এক বিশেষ অধিবেশনে এ প্যানেল চূড়ান্ত করা হয়। অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হন আওয়ামীপন্থী নীল দলের প্রার্থীরা। বিএনপি-জামায়াত সমর্থন শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল তিনটি অভিযোগ এনে প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে।

সিনেটের চেয়ারম্যান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন। ১০৫ জন সিনেট সদস্যের মধ্যে এতে ৯৩ জন সদস্য যোগদান করেন।

প্যানেলে মনোনীতরা হলেন: বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ১১(১) ধারা অনুযায়ী মহামান্য চ্যান্সেলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হয়। আর্টিক্যাল ২১(২) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান সিনেটের এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন।

এর আগে মঙ্গলবার আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলীয় ফোরামের বেঠকে তিন সদস্যের প্রার্থী চূড়ান্ত করেন। নীলদল থেকে সাতজন সদস্য দলীয় প্যানেলে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলীয় সভায় প্রার্থী হন। পরে ভোটাভুটির মাধ্যমে সেখান থেকে তিনজনকে মনোনীত করা হয়।

এদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল তিন অভিযোগ এনে ভিসি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। সাদাদলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ভোট বর্জনের বিষয়ে বলেন, আমরা ভিসি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছি। কারণ, ভিসি প্যানেল নির্বাচন করা তো সিনেটের মূল কাজ। গতবার যে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে তিনটি প্যানেল ছিল। আওয়ামীপন্থী নীলদলের দুইটি প্যানেল এবং বিএনপিপন্থী সাদাদল। কিন্তু নীলদলের একটি প্যানেল তারা বাদ দিয়েছিল, যা বাতিল করতে পারে না। এছাড়াও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনেও সারা বাংলাদেশে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে। এছাড়াও ডাকসুর নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে এসব বিষয়গুলোর জন্য ভিসি প্যানেলই দায়ী। তাহলে ভিসি প্যানেল করতে গিয়ে যদি এসব অনিয়ম কাজগুলো করে, তাহলে সে নির্বাচন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি।

এমআই