জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনকারীদের সতর্ক করল ছাত্রলীগ

জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনকারীদের সতর্ক করল ছাত্রলীগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত, টেন্ডার ছিনতাইকারীদের শাস্তি ও মেগা প্রজেক্টের মাস্টারপ্ল্যান সংশোধনের দাবিতে তিন দিন প্রশাসনিক ভবন অবরোধের কর্মসূচী বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে চলমান মেগা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় ও শাখা ছাত্রলীগকে জড়িয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে প্রচার চালানো বিষয়ে সতর্কও করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার বিকালে শাখার উপ-দপ্তর সম্পাদক এম মাইনুল হোসাইন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়া মনগড়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই অভিযোগ দুরভিসন্ধিমূলক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বক্তব্য তথ্যপ্রযুক্তি আইনের লংঘন বলে সতর্ক করে সংগঠনটি।

মেগা প্রকল্পের টাকা দুর্নীতি নিয়ে ছাত্রলীগ ও উপাচার্যকে জড়িয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগরে গড়ে ওঠে আন্দোলন।

এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এতে একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।

অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

ঘন্টাব্যাপী কথা বলার পর তিনি আলোচনার আহ্বান জানালে শর্তসাপেক্ষে তাতে রাজি হন আন্দোলনকারীরা।

তবে আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলনও চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বৃহস্পতিবারের অবরোধ থেকে আগামী রবিবার বিক্ষোভের ডাক দেন তারা। আন্দোলনকারীরা আলোচনার জন্য শর্ত দেন- মেগা প্রকল্পের মাস্টারপ্ল্যান সংশোধন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের পাশের তিনটি হল অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়ে প্রশাসনের ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউজিসি’র সঙ্গে আলোচনা করতে চান আন্দোলনকারীরা।

জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, আলোচনা করতে আমাদের সমস্যা নেই। আমরা নিজেরা বসে ঠিক করব এটা কীভাবে করা যায়। একইসঙ্গে আমাদের আন্দোলনও চলবে। প্রশাসন ইতিবাচক মনোভাব না দেখালে আন্দোলন আরও কঠোর রূপ নেবে।’

এমআই