‘শোভন-রাব্বানী বাসায় এসে কমিশন দাবি করেছিল’

‘শোভন-রাব্বানী বাসায় এসে কমিশন দাবি করেছিল’

পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে দেয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেছেন, রাব্বানী ক্ষোভ ও হতাশা থেকে এসব বলছে। মিথ্যা বলছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের বিষয়ে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এসব মন্তব্য করেন।

প্রশ্ন : ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করেছেন আপনি ঈদের আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। পরে আপনার ছেলের মাধ্যমে আপনি তাদের ডাকিয়েছেন।

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম: এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার ছেলে তাকে ফোন করেনি। তাকে পছন্দও করে না। বরং সে তার বান্ধবী দিয়ে ফোন করিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প পরিচালককে নানাভাবে বিরক্ত করেছে। তারা আমার বাসায় এসেছিল আমি তাদের দাবি মানিনি। তাই তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশা থেকে এসব বলছে। তারা আমার বাসায় এসে কাজের কমিশন দাবি করে। বলে, আপনি কিছু বলছেন না কেন? আপনাদের ছাত্রলীগ বলে ২%, এখানকার দিনে ৪%-৬% নিচে কাজ হয় না। দেশে যে সমস্ত কাজ হচ্ছে ছাত্রলীগ শেয়ার পাচ্ছে। এটা আমাদের অনুমতি আছে। কিন্তু আমি তাদের কথা রাখিনি। আমি বলেছি- এত টাকা চলে গেলে ভবন হবে কিভাবে। তাই তাদের ক্ষুব্ধতা রয়েছে।

প্রশ্ন: পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে আপনি যখন হাসপাতালে ছিলেন তখন ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী আপনার কাছে টেন্ডার দাবি করেছে।
অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম: তারা হাসপাতালে গিয়ে আমার কাছে ২/৩টা শিডিউল দাবি করেছিল। তারা হাসপাতালে ২/৩শ’ লোক নিয়ে গিয়ে হাসপাতালের পরিবেশ বিনষ্ট করছিল। আমি খুব অনিরাপদ বোধ করছিলাম। আমি এই ঘটনা এবং জাকসু নিয়ে কথা বলতে তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত কথা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এসব আমাদের দুর্ভাগ্য। যুব সমাজের দিকে তো দেশ তাকিয়ে থাকে। সেখানে যারা অভিভাবক তারা ভাল পথ না দেখালেও নিজেরা একটা ভাল পথ খুঁজে নিক।

প্রশ্ন: আপনার পুনঃনিয়োগ হওয়ার পর থেকে একটি রাজনৈতিক সংকটে পড়েছিলেন। এখন প্রকল্প নিয়ে ফের কোন রাজনৈতিক সংকটে পড়ছেন কিনা ?
অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম : সংকট তো আমি বানাই না। যারা আমাকে চাচ্ছে না, আমাকে অনির্বাচিত, অগণতান্ত্রিক ভিসি বলে রিট করেছিল তারা তো আছেনই। তারা এখন আমাকে সততার জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দিচ্ছেন। ডান-বাম ও বিএনপির সঙ্গে মিশে গেছেন। এখানে বুঝতে হবে তারা ন্যায় সন্ধান করছে নাকি অন্যকিছু। যা পেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রশ্ন : আপনার প্রশাসনের দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ আপনার জন্য খুব একটা রাজনৈতিক সহায়ক বলে একটি গুঞ্জন আছে। আপনার কি মনে হয় ?
অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম : আমাদের একটা সমস্যা আছে। আমরা ১৪ জনের বেশি লোক এক হতে পারি না।

ধন্যবাদ আপনাকে
অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম : আপনাকেও ধন্যবাদ। সূত্র : মানবজমিন

এমজে