রাব্বানী সাহেব, কত টাকা যেন চেয়েছিলেন কমিটি করার জন্য?

রাব্বানী সাহেব, কত টাকা যেন চেয়েছিলেন কমিটি করার জন্য?

নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বর্তমানে রাজনীতির টেবিলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের এ দুই কান্ডারী শেখ হাসিনার নজরের তলানিতে গেছেন। তাদের চাপা পড়া অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে একে একে মুখ খুলছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের ভুক্তভোগী নেতারা। গত ক্ষোভ ঝেড়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:-

জনাব শোভন, রাব্বানী সাহেব.....

কেমন আছেন?? মধুচন্দ্রিমা তো শেষ, এখন তো আর পায়ের তলায় মাটি খুজে পাবেন না। নিজেদেরকে মহাপ্রতাপশালী ভেবেছিলেন, এখন দেখেন আপনাদের খুটির জোর কতটুকু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদেরকে নেতা বানিয়েছিল, আর আপনারা আপাকে কষ্ট দিলেন?? আপা আপনাদেকে ক্ষমতা যেভাবে দিয়েছেন, আবার নিয়ে ও যাচ্ছেন।ছাত্রলীগের ইতিহাসে একমাত্র সভাপতি সাধারন সম্পাদক আপানারা যারা কিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গনভবনে প্রবেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন।

 

জনাব রাব্বানী সাহেব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি স্থগিত করে আমাকে আর তরিকুল কে ডেকে নিয়ে মাসে কত টাকা করে যেন চেয়েছিলেন কমিটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য?? আর জগন্নাথের নতুন ক্যাম্পাসে বালু ভরাটের কাজের জন্য যে ঠিকাদার টা পাঠিয়েছিলেন তার নাম মনে আছে?? বালু ভরাট ঘনফুট কত টাকা করে যেন বলেছিলেন?? আপনি ভুলে গেলেও আমি ভুলি নাই। সেগুলো প্রমান সহ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কমিটি ভেঙ্গে যে মজাটা নিয়েছিলেন সেই মজা টা এখন আমি পাচ্ছি। আমরা বারবার বলার পর ও পূনাঙ্গ কমিটি করতে না দিয়েই আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করলেন। এখন তো মনে হচ্ছে আপনারা ও আর কোন ইউনিট কমিটি দিতে পারবেন না।আপনাদের এত ক্ষমতা তাহলে ফেব্রুয়ারিতে জগন্নাথের কমিটি বিলুপ্ত করে এখনো কমিটি দিতে পারলেন না কেন?? নাকি পোলাপাইন গুলোকে পিছনে পিছনে ঘুরিয়ে প্রটোকল নেওয়ার ধান্দা।।।

এসব ভন্ডামী ছাত্রসমাজ বুঝে গেছে।। ১বছর ২মাসে ১১০টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের মধ্য মাত্র ২টা কমিটি দিয়েছেন, তাও ইবি ছাত্রলীগের কমিটিতে ৪০লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। যদিও টাকা লেনদেনের বিনিময়ে কয়েকটি উপজেলা কমিটি দিয়েছেন। বাকী ১০৮ ইউনিট কমিটি মনে হয় না আর দিতে পারবেন, যদি না দেশরত্ন আপনাদেরকে ক্ষমা করে শেষ সুযোগ না দেন।

দেশরত্নের সাথে যে অন্যায় করেছেন সবকিছুর জন্য ক্ষমা চেয়ে দেশরত্ন থেকে কয়েকমাস সময় চেয়ে নিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করে যেন বিদায় নিতে পারেন এই কামনা করি।।।

(লেখকের বানান নীতি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে)