গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ভিসির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।
সোমবার রাতেও ক্যাম্পাসে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করায় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, উপচার্যের পদত্যাগ ছাড়া আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব না। যতদিন পর্যন্ত না এ দুর্নীতিবাজ উপাচার্য পদত্যাগ না করবে আমরা এখানেই অবস্থান করব।
প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফেসবুকে লেখার জেরে ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন।
উপাচার্য বহিষ্কারাদেশ তুলে নেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জোর আন্দোলন গড়ে তোলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সকাল ১০টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান।
এ অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন গোবরা এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে বহিরাগতরা। এতে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন।