মদের বোতল দিয়ে জাবি ছাত্রলীগ কর্মীর মাথা ফাটাল আরেক কর্মী

মদের বোতল দিয়ে জাবি ছাত্রলীগ কর্মীর মাথা ফাটাল আরেক কর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পক্ষের ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় আরেক পক্ষের ৪ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- শহীদ রফিক জব্বার হলের ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ ও একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী জোবায়ের আহমেদ, রকিব ও কামরুল হাসান শাওন।

এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন নাহিদ গুরুতর আহত হয়েছেন। মারধরের সময় তার মাথায় মদের বোতল দিয়ে আঘাত করে বঙ্গবন্ধু হলের ৪৬তম আবর্তনের গণিত বিভাগের ছাত্রলীগ কর্মী রিফাত ও মুন্না। এতে তার মাথা ফেটে গেছে।

আঘাতপ্রাপ্ত ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সামনে বঙ্গবন্ধু হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের কর্মীদের মধ্যে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানুর রহমান জানান, ‘ মারধরের এ ঘটনায় মোট ৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে নাহিদের মাথার পেছনে গুরুতর যখম থাকায় তাকে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে মারধরের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শহীদ রফিক-জব্বার হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগপত্রে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা উল্লেখ করেন, সোমবার দুপুরে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত শেখ জামাল ভর্তি সহায়তা কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছিল শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা।

এক ভর্তিচ্ছুকে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য সিএসই বিভাগের সামনে যান ছাত্রলীগ কর্মী সাব্বির হোসেন নাহিদ। এই ভবনের সামনে টাকার বিনিময়ে ব্যাগ, মোবাইল ইত্যাদি রাখার জন্য টেন্ট দেয় বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী দর্শন বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের ছাত্র জাকির হোসেন।

সে টেন্টে ওই পরীক্ষার্থীর মোবাইল রাখার জন্য জবরদস্তি করে। তখন নাহিদ টাকার বিনিময়ে মোবাইল রাখতে জোরাজুড়ি করার প্রতিবাদ জানালে জাকির তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। এ সময় উপস্থিত সহকারী প্রক্টর রনি হুসাইন তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।

এ সময় ঘটনাস্থালে উভয় হলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হলে রফিক-জব্বার হলের কর্মীদের ওপর হামলা করে বঙ্গবন্ধু হলের নেতা-কর্মীরা।

অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, হামলাকালে বঙ্গবন্ধু হলের ৪৬তম আবর্তনের গণিত বিভাগের রিফাত ও মুন্না মদের একটি কাচের বোতল দিয়ে নাহিদের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে নাহিদের মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ হামলায় বঙ্গবন্ধু হলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয় বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা আজকে সন্ধ্যায় শৃঙ্খলাক কমিটির জরুরি সভা ডেকেছি। যথাযথ প্রমাণ ও উপস্থিত সহকারী প্রক্টরদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’