আবরার শিবির করতো না, পরিবারের সবাই আ’লীগ সমর্থক: চাচার দাবি

আবরার শিবির করতো না, পরিবারের সবাই আ’লীগ সমর্থক: চাচার দাবি

নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে দাবি করেছেন তার চাচা মিজানুর রহমান। আবরার শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ তোলার পর সোমবার সকালে গণমাধ্যমের কাছে তিনি এমন দাবি করেন।

মিজানুর রহমান দাবি করেন, সে শিবিরের কর্মী, এমন কথা রটাচ্ছে সবাই। এটা বানোয়াট, আমরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের বিভিন্ন মিটিংয়েও আমরা যাই।
তিনি বলেন, আবরার এমনিতে তাবলিগে যেত। বুয়েটে ভর্তির পর দুই–তিনবার সে তাবলিগে গিয়েছিল।

এদিকে তার পরিবারের লোকজন বলছেন, আবারের কোনো শত্রু ছিল না। তাঁদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক। তাদের সন্তানকে কেন এভাবে জীবন দিতে হলো, বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যেরা।

সোমবার সকালে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকর মাতম চলছে। পরিবারের সদস্যেরা বুঝে উঠতে পারছেন না, এত মেধাবী, শান্ত ছেলেটিকে কে হত্যা করতে পারে!

গতকাল রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই–বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আবরারের বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকে। বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের কাছেই তাঁর হোস্টেল। কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাঁদের বাড়ি।