বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সমন্বয় পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট বিক্ষোভ সমাবেশেরর আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরু।

এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছিল...বৃথা যেতে দেব না, আমার ভাইয়ের রক্ত/ অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন/ শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলবে না...।

শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মৃত শিক্ষার্থী বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ফাহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। ফাহাদ কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে।

বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু বলেছেন, ‘ফাহাদকে শিবির সন্দেহে রাত ৮টার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেইসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করি। ফেইসবুকে বিতর্কিত কিছু পেজে তার লাইক দেওয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই।’

তিনি বলেন, ‘ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা।’

এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘প্রমাণ পাওয়ার পরে চতুর্থ বর্ষের ভাইদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার সেখানে আসেন। একপর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এরপর হয়তো ওরা মারধর করে থাকতে পারে। পরে রাত ৩টার দিকে শুনি ফাহাদ মারা গেছে।’

এমআই