ঢাবি প্রশাসনই সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব করেছে: রাশেদ

ঢাবি প্রশাসনই সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব করেছে: রাশেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাসকুর সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ চাত্র অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ। বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান এ অভিযোগ করেন।

ডাকসু ভবনের বাইরে এবং ভেতরে মিলিয়ে মোট ৯টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা আছে। ক্যামেরার ফুটেজগুলো ধারণ করা হতো ডাকসুর সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার আবুল কালাম আজাদের কক্ষে। সেই কক্ষে একটি মনিটর এবং একটি সিপিইউ ছিল। কিন্তু ডাকসু ভবনে নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনার পর সেই মনিটর এবং সিপিইউয়ের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর ‘প্রত্যক্ষ মদদ ও হস্তক্ষেপেই’ ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে। ঢাবি প্রশাসনই সিসিটিভির ফুটেজ ধ্বংস করেছে।

ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জিব ও সাদ্দামের নেতৃত্বেই ডাকসু কার্যালয়ে হামলা হয়েছে এমন দাবি করে ভিপি নুরের সহযোগীরা বলেছেন, অবিলম্বে প্রকৃত হামলাকরীদের গ্রেফতার না করলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেবে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম।

রাশেদ খান বলেন, নুর মাঝেমধ্যে বমি করছেন। তার হাতে ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন, রাত্রে ঘুমাতে পারছেন না। সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম। তার দু’চোখে প্রচণ্ড রকমের আঘাত করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর।এছাড়া তার হাতেও কোমরে প্রচণ্ড রকমের আঘাত রয়েছে। সে ঘুমাতে পারছে না। কিছু খেতেও পারছে না বমি করে ফেলছে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে রড, বাঁশ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা ওই ঘটনায় আহত অন্তত ২৪ জনের মধ্যে ৯ জন এখন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন৷ এ ঘটনার পর ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হয়ে গেছে।