এসএসসিতে নিয়মিত ও অনিয়মিতদের আলাদা বসানোর নির্দেশ

এসএসসিতে নিয়মিত ও অনিয়মিতদের আলাদা বসানোর নির্দেশ

প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুল ঠেকাতে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসহ একাধিক শিক্ষাবোর্ড।

মঙ্গলবার এই নির্দেশনাটি জারি করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডকেও এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম। ইতিমধ্যে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড অনুরূপ নির্দেশনা জারি করেছে।

আমিরুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের নির্দেশনা পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্রসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে। এরপরও প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের ঘটনা ঘটায় আরও সতর্ক হতে আবারও এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এই নির্দেশনাপত্রে আসন ব্যবস্থার পাশাপাশি মোট ছয়টি নির্দেশ রয়েছে। অন্যান্য নির্দেশের মধ্যে রয়েছে- নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী যে সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা সে অনুযায়ী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা, কোনো কারণে পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হলে সেই সময় যোগ করে পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ সময় দেওয়া, বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং রচনামূলক খাতার (ওএমআর) ওপর কোনো রকম লেখা বা দাগ থাকা যাবে না, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন দুই ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবে না। যদি বিশেষ কারণ হয় তাহলে প্রশ্নপত্র নিয়ে বের হতে পারবে না। তবে পরীক্ষা শেষে তাঁকে প্রশ্নপত্র দেওয়া যাবে। এ ছাড়া আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, সচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন কেন্দ্রে নিতে পারবেন না।

চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে গত সোমবার দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের ছড়াছড়ি হয়। মূলত নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পুরোনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।

বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের মূল দায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব ও কক্ষ পরিদর্শকদের। কোন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র সেটি ভালোভাবে না দেখে বিতরণ করায় এই ধরনের ভুলের ঘটনা ঘটছে।

এ ছাড়া নির্দেশনা থাকার পরেও কিছু কেন্দ্রসচিব নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের আলাদা কক্ষে বসার ব্যবস্থা করেন না। ফলে ভুল হয়। আর এর খেসারত দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা।