জবির ভর্তি জালিয়াতির মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা, আটক ২

জবির ভর্তি জালিয়াতির মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা, আটক ২

জবি, ১১ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে ছাত্রলীগ নেতার সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে প্রক্সি দিয়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হলে তাদের স্বীকারোক্তিতে ভর্তি জালিয়াতিতে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিব বিন বারির সম্পৃক্ততার তথ্য জানান।

আটককৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ আলমাস আকাশ ও সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান।

জানা যায়, আকাশ ভর্তি হওয়ার পর বিভাগ ও ডিন অফিস তার তথ্য যাচাইবাছায় করে আইটি দফতরের মাধ্যমে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় আইডি কার্ড দেয়। ইতোপূর্বে সে নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে আসছেন। আটককৃত আকাশ জানান, সে দিনাজপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়ার সময় ওই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রক্সি দিয়ে জবিতে ভর্তি হন। এ তথ্য জানার পর আকাশ এইচএসসি পরীক্ষা শেষে নোমানের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে জবিতে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষায় 'ডি' ইউনিটে তার মেধাক্রম সপ্তম ছিল।

আটক আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম এবং আকিব বিন বারির কাছে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে আকাশকে জবিতে ভর্তি করান।

জানা যায়, আকিব বিন বারি জবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আকিব বিন বারি সম্পৃক্ত ছিলেন।

জবির প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা জালিয়াতির অভিযোগে দুইজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। দুইজনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, জবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থানায় সোপর্দ করেছেন। তাদের নামে পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগে অপরাধীদের কোন জায়গা নেই। জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আকিব বিন বারিকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশের জন্য বলা হয়েছে। তারা সুপারিশ দিলেই বহিষ্কার করা হবে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩৩৯ঘ.)