জাবিতে ৮ শিক্ষক লাঞ্ছিত

জাবিতে ৮ শিক্ষক লাঞ্ছিত

ঢাকা, ১৭ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের ধর্মঘট চলাকালে ভিসিপন্থী ও সবেক ভিসিপন্থী দুই গ্রুপের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ মাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ ঘটনায় আওয়ামীপন্থী ৮ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অপরদিকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধকালে আরেক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতা আছে দাবি করে প্রক্টরের পদত্যাগ করেছে সাবেক ভিসিপন্থী শিক্ষকরা। এ ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করবে বলে ঘোষণা দেয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটকাতে বিশ মাইল এলাকাতে অবস্থান নেয়। সেখানে ভিসিপন্থী কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হয়ে বাস চলাচলে বাঁধা দিতে নিষেধ করায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ৮ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছে।

এরপর সকাল ৮টা থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন সংগঠনটির শিক্ষকরা। বেলা ১০টায় সেখানে উপাচার্য উপস্থিত হলে আবারো উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে ১১টায় উপাচার্য পন্থী শিক্ষকরা মানববন্ধন করে।

এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ বা সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরপন্থী শিক্ষকরা উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩, স্ট্যাটিউট ও সিন্ডিকেট পরিচালনা বিধি লঙ্ঘন করে ৯টি হলের প্রভোস্ট নিয়োগকে কেন্দ্র করে ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘট বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। এর পর কালো ব্যাচ ধারণ করে মানববন্ধন করবে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।

শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ খানকে আহ্বায়ক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদকে সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার (টিচিং) মুহাম্মাদ আলীকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তবে ৯ প্রভোস্ট নিয়োগের বিষয়ে কোন অনিয়ম হয়নি দাবি করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষের পছন্দ মতো নিয়োগ না হওয়ায় তারা এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৫০ঘ.)