ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ

রাবির দুই শিক্ষার্থী ৭দিন ধরে নিখোঁজ

রাবির দুই শিক্ষার্থী ৭দিন ধরে নিখোঁজ

রাজশাহী, ১৫ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থী ৭দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।

নিখোঁজ দুই জনের সহপাঠীরা দাবি করেছে, তাদেরকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকাধারী কয়েকজন ব্যক্তি তুলে নিয়ে গেছে।

নিখোঁজের বিষয়ে কিছুই জানেন না দুই শিক্ষার্থীর পরিবার। তবে রাজশাহী সিআইডি কর্মকর্তারা দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আটকের কথা জানালেও তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে জানাতে পারে নি।

তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ কার্যালয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতারের তথ্য জানায়।

সেখানে রাবির দুই শিক্ষার্থীও আছেন বলে জানানো হয়। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানানো হয় নি।

রাবির নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বনি আমিন ইসরাঈল ও সমাজকর্ম বিভাগের মারুফ হাসান।

এর মধ্যে বনি রাবি ছাত্রলীগের কর্মী। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের চৌগাছার আন্দুলিয়া গ্রামে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবখশ হলের ২৩৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। তবে,মারুফ হাসানের বাড়ির তথ্য পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ দুই জনের সহপাঠীরা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে বনি ও মারুফকে ক্লাস, ক্যাম্পাসে কিংবা আবাসিক হলে পাওয়া যাচ্ছিল না।

বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেয়া শুরু করলে তারা জানতে পারে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বনিকে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর বাজার এবং মারুফকে সাহেববাজার এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে গেছে।

তবে রাজশাহীর বিভিন্ন থানা, ডিবি কার্যালয় ও র‌্যাব কার্যালয়ে খোঁজ নিলেও তাদেরকে আটকের ব্যাপারে কিছু জানা যায় নি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বনির সহপাঠি মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার সকালের দিকে বনিকে সবশেষ হলে দেখেছি। তারপর তার সঙ্গে আর দেখা হয় নি। তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমিসহ অন্য সহপাঠীরাও খোঁজ করেছে, তবে এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি।

রাজশাহী সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক বলেন, প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতি চক্রে জড়িত থাকার ঘটনায় রাবির দুই শিক্ষার্থী আটকের বিষয়টি জেনেছি। তবে আমাদেরকে তাদের নাম-পরিচয় বা অন্য কোনো তথ্য দেয়া হয় নি।

বিষয়টি ঢাকা অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানি না। একই কথা জানান নগরীর মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান ও রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/০৯৩০ঘ.)