মুচলেকায় ছাড়া পেলেন অধ্যাপক রেহনুমা

মুচলেকায় ছাড়া পেলেন অধ্যাপক রেহনুমা

ঢাকা, ৩ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : আটকের পর মুচলেকায় ছাড়া পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহ। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ থেকে তাদের আটক করা হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা, গ্রেফতার-নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘উদ্বিগ্ন এই অভিভাবক ও নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে। সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একত্রিত হলে তাদেরকে জমায়েত হতে বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে অভিভাবক ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় বাকী বিল্লাহকে আটক করে পুলিশ।

এসময় সেখানে উপস্থিত অভিভাবকরা বাকী বিল্লাহকে আটকের প্রতিবাদ করে তাদের সাবাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানান।

সে সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ গাড়িতে উঠে গেলে বাকি বিল্লাহ এবং অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ নিয়ে চলে যায় পুলিশ।
পরে আটকের ৪০ মিনিট পর শাহবাগ থানায় নিয়ে মুচলেকা নিয়ে তাদের দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ সাংবাদিকদের জানান।

পুলিশ সদস্যরা কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে আসা অভিভাবক, শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতাদের লাঞ্ছনা করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশে আসা অভিভাবকরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ওপর সশস্ত্র হামলা, গ্রেপ্তার-নির্যাতন ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকদের প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। প্রেসক্লাবের সামনে অভিভাবকেরা জড়ো হতে থাকলে তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় শাহবাগ থানার পুলিশ।

এ সময় সেখানে উপস্থিত হন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। সেখানে উপস্থিত অভিভাবক ও বিভিন্ন পেশাজীবীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। ধস্তাধস্তিতে হেনস্তার শিকার হন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষক ও ছাত্রনেতাকে আটকের পরপরই ধস্তাধস্তির সময় ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদকে পুলিশের ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের যে যৌক্তিক আন্দোলনে, তাতে সরকারের ছাত্রসংগঠন ভয়াবহ হামলা করেছে। ছাত্রীদের ওপরে হামলা করা হয়েছে, বহু ছাত্রছাত্রী মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালে। এসব কিছু দেখে নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অভিভাবকেরা একটা উদ্বেগ প্রকাশ করতে এসেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু না। আমরা তো জানি না ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কার্যত ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।’

(জাস্ট নিউজ/একে/২১১০ঘ.)