সিটি নির্বাচন : রাজশাহী

হাতুড়ি হামলা: সেই ছাত্রলীগ নেতারাও নৌকার পক্ষে প্রচারে

হাতুড়ি হামলা: সেই ছাত্রলীগ নেতারাও নৌকার পক্ষে প্রচারে

ঢাকা, ১৯ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোটের প্রচারে নেমেছেন ছাত্রলীগের কিছু বিতর্কিত নেতা। গত সোমবার থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে তারা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ কোটা আন্দোলনকারীদের হাতুড়িপেটা করেছেন।

গত ২ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা তরিকুল ইসলামকে লাঠি, দা ও হাতুড়িপেটা করে দুই পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়। মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গণমাধ্যমে হামলাকারীদের পরিচয়ও উঠে এসেছে। তবে হামলার ঘটনায় মামলা হয়নি।

রাজশাহীর আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, দলীয় নির্দেশনা ছিল বিতর্কিত এসব ছাত্রনেতা যেন ভোটের প্রচার থেকে দূরে থাকেন। মামলা না হলেও তারা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

গত রবিবার ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ রাজশাহী আসেন ভোটের প্রচারে। তার সঙ্গে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন তরিকুলের ওপর হামলাকারীরা।

তরিকুল হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকলেও তার ওপর হামলায় জড়িতরা ভোটের প্রচারে রয়েছেন। আবদুল্লাহ মামুন বাদে বাকিরা ভোটের প্রচারে রয়েছেন। ভোট চেয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন সংবাদ ও ছবি শেয়ার করছেন। মেহেদী হাসান মিশু, আহমদ সজীব, গোফরান, গাজী, মিজানুর রহমান, রমিজুল ইসলাম রিমু, হাসান লাবন ও সৌমিত্র কুমার বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে ‘আড্ডাতেও’ ছিলেন তারা।

ভোটের প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু জানিয়েছে, ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে তিনিও ভোটের প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।

মিশু বলেন, নানির মৃত্যুর কারণে দু’দিন প্রচারে নামতে পারেননি। গত মঙ্গলবার থেকে ফের নেমেছেন খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে। মেহেরচন্ডিতে তিনি নৌকার পক্ষে প্রচারে অংশ নেন। ফেসবুকে আপলোড করা ছবিতে দেখা যায় ভোটের প্রচারে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন মিশু। আগের ছবিতে দেখা গেছে মিশুর সঙ্গে থাকা কর্মীরা আগের মুহূর্তে নৌকার লিফলেট বিতরণ করছেন।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে প্রচারে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তরিকুলের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের কাউকে তিনি চেনেন না। এমন কেউ প্রচারে অংশ নিয়েছেন কি-না তাও তিনি জানেন না।

তবে তরিকুলের সহপাঠী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না এমন বর্বর হামলার পরও পুলিশ কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি কিঞ্জল আহমেদ বলেন, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভোটের প্রচারে অংশ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসান এতটা নির্লিপ্ত ভূমিকায় রয়েছে। সুত্র: সমকাল।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২০৫ঘ.)