কোটা নিয়ে স্ট্যাটাস, কুবি শিক্ষককে হাউজ টিউটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

কোটা নিয়ে স্ট্যাটাস, কুবি শিক্ষককে হাউজ টিউটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

ঢাকা, ১৯ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : কোটা সংস্কারের পক্ষে স্ট্যাটাস এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছনার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষককে হলের হাউজ টিউটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে সোমবার এক অফিস আদেশের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে নজরুল হলের হাউজ টিউটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। শিক্ষকের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস দেশবিরোধী কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষে ফেসবুকে প্রচুর স্ট্যাটাস ও বিভিন্ন ছবি শেয়ার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আকবর হোসেন। এ নিয়ে গত ৫-৬ দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ ওই শিক্ষককে কটূক্তি এবং গালমন্দ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল হলের শতাধিক ছাত্রের স্বাক্ষর নিয়ে একটি অভিযোগপত্র হল প্রভোস্ট কাজী ওমর সিদ্দিকীর কাছে পাঠানো হয়। অভিযোগে বিভিন্ন স্ট্যাটাসের প্রিন্ট কপি এবং স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট অভিযোগের অনুলিপি রেজিস্টার শাখায় পাঠালে সোমবার শিক্ষক আকবর হোসেনকে কোনও ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই নজরুল হলের হাউজ টিউটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে এ বিষয়ে কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. জিএম মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং প্রক্টর কাজী মো. কামাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে গঠন করা হয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।

এ বিষয়ে শিক্ষক আকবর হোসেন জানান, একটি বিষয় নিয়ে আমি খুবই মর্মাহত। আমি নাকি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আর অভিযোগটি করানো হয়েছে আমার ছাত্রদের দিয়েই। অভিযোগ যারাই করুক, কোনও প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়া আমাকে হাউজ টিউটরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া চরম অপমানের শামিল। আমাকে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ গত শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রগতিশীল জোট নীল দলের হয়ে নির্বাচন করে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছি। যদিও আমাদের প্যানেল নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ড. জিএম মনিরুজ্জামান জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করবো। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪৫৫ঘ.)