কোটা আন্দোলনের ২ নেতাকে অপহরণ করেছে ছাত্রলীগ

কোটা আন্দোলনের ২ নেতাকে অপহরণ করেছে ছাত্রলীগ

ঢাকা, ২২ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনের দুই নেতাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্র সংগঠনটির অভিযুক্ত নেতারা।

রবিবার গ্রেফতার সহকর্মীদের মুক্তিসহ নানা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে সেখানে হামলা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে এফিল্যান্ট রোডে কোটা আন্দোলনের কয়েকজন নেতার ওপর আবার হামলা হয়। এ সময় দু'জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শুরু হওয়া ছাত্র সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে নিয়াজী, সোহরাব হোসেন ও রাতুল সরকার সিএনজিতে এবং বিন ইয়ামিন মোল্লা ট্যাক্সিতে করে তাদের গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে টিএসসি ছাড়েন। কিন্তু এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ে উজ্জ্বল ও হামজার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বাইক নিয়ে তাদের পথরোধ করে এবং বেদম পিটুনি দেয়। পিটুনির এক পর্যায়ে রাতুল সরকার ও নিয়াজী পালাতে পারলেও পালাতে পারেননি সোহরাব।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্যাক্সি থেকে বিন ইয়ামিনকে নামিয়ে তাকে কাটাবনের দিকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের আরেক দল নেতাকর্মী।

অপহৃতরা কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে- এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান উজ্জ্বল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমীর হামজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন ও সোহরাব হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃত দু’জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এ সময় পালাতে গিয়ে আহত হন রাতুল সরকার নামে এক আন্দোলনকারী।

তবে আমীর হামজা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি অপহরণের বিষয়ে কিছু জানি না, আমরা কয়েকজন মিলে ওই রাস্তা দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলাম, এমন সময় একটি সিএনজির সাথে আমাদের ধাক্কা লাগে এবং কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সাদা শার্ট আর কমলা রঙের প্যান্ট পরা ছাত্রলীগ নেতা আমীর হামজা’ আন্দোলনকারী রাতুল সরকারের গলা চেপে ধরে বেদম মার দিচ্ছেন। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও পেরে উঠেনি।

ওই ভিডিওর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে হামজা বিব্রত হন এবং কোনো সদুত্তর দেননি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২১২১ঘ.)