কুবি শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে ভিসিকে স্মারকলিপি

কুবি শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে ভিসিকে স্মারকলিপি

কুমিল্লা, ২৩ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল খানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এঘটনায় হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন আহত শিক্ষার্থীর বাবা ও তার সহপাঠীরা।

এজন্য রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপিতে এ বিচারের দাবি জানানো হয়।

উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিতে ইকবাল খানের বাবা ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজল খান উল্লেখ করেন, আমার ছেলে রাজনীতি ও কোন প্রকার উচ্ছৃঙ্খলতার সাথে জড়িত নয়। তা সত্ত্বেও গত ১৯ জুলাই দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের সালমান চৌধুরীর নেতৃত্বে এআইএস বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের দীপ্ত, ২০১৬-১৭ সেশনের মিরাজ ও হৃদয় এবং আইসিটি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের বুখারিসহ আরো অজ্ঞাত ১০-১৫ জন আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।

অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার এসআই সোহরাব তাকে বলেন, ঢাকায় বিশ্বজিতের উপর যেভাবে হামলা করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্যে তার ছেলের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চলানো হয়।

এদিকে প্রক্টর বরাবর তার সহপাঠীদের দেয়া আভিযোগপত্রে হামলার প্রধান অভিযুক্ত সালমান চৌধুরীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১১তম ব্যাচের মাঈনুদ্দীন নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে একই বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার সমঝোতার জন্য মাঈনুদ্দিন তার বিভাগের সিনিয়র ইকবালের কাছে মীমাংসার জন্য বলে। এতে সালমান আরো উত্তেজিত হয়ে সেখান থেকে চলে গিয়ে হল থেকে ৮-১০ জন নিয়ে ইকবালকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বেধড়ক মারধর করে। এতে ইকবাল গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসে। পরে ডাক্তার তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন। এ হামলাকারীদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের পদধারী নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা এটা গুরুত্বের সহকারে নিয়েছি। সত্য ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের যথাযথ বিচারের জন্য সুপারিশ করব।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৪৫ঘ.)