প্রমাণ না পাওয়ায় ছাড়া পেলেন ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী

প্রমাণ না পাওয়ায় ছাড়া পেলেন ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী

ঢাকা, ৭ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে থানায় সোপর্দ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।

এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলে ছয় শিক্ষার্থীকে মারধর করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এঁদের মধ্যে রয়েছেন- গণিত বিভাগের তারিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের মশিউর রহমান সাদিক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সাদ্দাম হোসেন, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের ওমর ফারুক, প্রাণ রসায়ণ ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের জাহিদ এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের জোবাইদুল হক রনি।

এর মধ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে তারিকুল, সাদ্দাম ও রনিকে পুলিশে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগ তাদের আজ সকালে আমাদের থানায় তুলে দেয়। তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় ছেড়ে দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল না তেমন।’

মারধরকারী নেতাকর্মীরা হলেন- ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সুফি, শামীম ও নাঈম। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক সিসিমের অনুসারী বলে জানা যায়।

পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের প্রমাণ না পেয়ে ছেড়ে দিয়েছে। তাহলে ছাত্রলীগ কিসের ভিত্তিতে তাদের মারধর করল- এমন প্রশ্ন করা হলে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার সিদ্দিক সিসিম বলেন, ‘আমি তো সেখানে ছিলাম না। তবে শুনেছি রাতের অন্ধকারে কার্জন হলের সব লাইট বন্ধ করে হল দখল করবে, এই খবর পাওয়ার পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তাদের ম্যাসেঞ্জারে কার্জন হল দখলের পরিকল্পনার কথা দেখতে পাওয়া যায়। সেই সময় তাদের থানায় তুলে দেওয়া হয়। একটি হল দখলের খবরও যদি পুলিশের কাছে তেমন কিছু না মনে হয় তাহলে আর কি করার। তবে অন্যায়ভাবে তাদের মারা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে মারধরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শাহরিয়ার সিদ্দিক সিসিম বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছি। তাই তাদের পুলিশে দেওয়া হয়েছে। গুজবের বিষয়টি তারা স্বীকার না করায় তাদের মারধর করা হয়েছে।’

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৫১ঘ.)