৫ মাসে ২৩৩ শিশু ধর্ষণের শিকার

৫ মাসে ২৩৩ শিশু ধর্ষণের শিকার

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রথম ৫ মাসে সারাদেশে ২৩৩ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন মেয়ে শিশু ও ৬ জন ছেলে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরে ৩২ জন মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘বন্ধ হোক শিশু ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফউন্ডেশন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই ছেলে শিশুসহ মোট ৩৫ জন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। নিহত শিশুদের মধ্যে সাত শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। একজনকে ধর্ষণ চেষ্টার পর হত্যা করা হয়েছে ও দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ধর্ষণের চিত্র তুলে ধরে বক্তারা বলেন, শিশুদের প্রতি ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিনয়ত এ ধরণের পরিবর্তন ঘটছে ও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। শুধু মেয়ে শিশুরাই নয়, ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রেও ঘটছে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও হত্যার মতো ঘটনা। শিশুরা আজকে কোনো জায়গাতেই নিরাপদ নয়। এমনকি প্রতিবন্ধী শিশুরাও শিকার হচ্ছে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির।

এ সময় সংগঠনের বক্তারা সরকার এবং আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে শিশু ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে আছে- অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিচার কাজ সম্পন্ন করা, ধর্ষণ ও সহিংসতা বন্ধে এই মুহূর্তে বাস্তসম্মত আইন ও উদ্যোগ গ্রহণ, পর্নোসাইট ও বিদেশি যেসব চ্যানেলে সহিংসতার ঘটনা দেখানো হয় সেগুলো বন্ধ করা ও আইসিটির মাধ্যমে সংগঠিত সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজ, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অনেকে।

এমআই