শিশু অতিরিক্ত চঞ্চল হলে কী করবেন

শিশু অতিরিক্ত চঞ্চল হলে কী করবেন

ঢাকা, ৪ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : শিশুর অতিরিক্ত চঞ্চলতা, অমনোযোগিতা বা অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি ) এখন বেশ প্রচলিত সমস্যা। এর ফলে শিশুটি হয়তো বেশি অস্থির হয়ে পড়ে। শিশুটি হয়তো ক্লাসে এক জায়গায় বসে থাকতে পারে না, লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারে না। ফলে তার পড়াশোনায় ক্ষতি হয়। পরবর্তী সময়ে পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ১৯৫৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের শিশু বিকাশ ও শিশু নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. আনিসা জাহান।

প্রশ্ন : শিশুরা চঞ্চল হয় অনেক সময়। কিন্তু এই চঞ্চলতাকে কখন আমরা সমস্যা বলব?

উত্তর : শিশুদের চঞ্চলতা স্বাভাবিক। কে কত চঞ্চল হবে, এই বিষয়টি বিভিন্ন শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়। দেখা গেছে, অতিরিক্ত চঞ্চলতা এবং অমনোযোগিতা দুটো বিষয় একসঙ্গে থাকতে পারে। আবার আলাদাও থাকতে পারে। সাধারণত ১৫ থেকে ২০ ভাগ শিশুর মধ্যে এই সমস্যা থাকে। এদের মধ্যে একটি দল ভালো হয়ে যায়। যখন বড় হয় তখন ২০ থেকে ৫০ ভাগ শিশু স্বাভাবিক হয়ে যায়। আবার এই ২০ থেকে ৫০ ভাগ শিশুর সমস্যাটা অন্য রকমভাবেও থাকতে পারে। এমনি যদি শিশু চঞ্চল হয় এর ফলে কোনো সমস্যা হয় না। এর সঙ্গে আরো কিছু বিষয় যোগ থাকতে পারে। তখনই এটিকে সমস্যা হিসেবে বলা হয়। উদাহরণ স্বরূপ, একটি শিশু হয়তো লিখছে, তার হাতের লেখাটা খারাপ হতে পারে। এটা হয়তো তেমন বড় কিছু না। কিন্তু সে প্রায়ই বানান ভুল করছে। সে হয়তো সব বানান জানে এরপরও ভুল করে, খুব সহজ জিনিস ভুল করে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৪৫০ঘ.)