নড়াইলের লোহাগড়ায় স্কুলছাত্রীকে ‘হাতুড়িপেটার’ ঘটনার প্রধান আসামি ওবায়দুর রহমানকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম শহরের ষোলোশহরে একটি বস্তি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম, লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলটন কুমার দেবদাস ও এসআই মো. আতিকুজ্জামান।
এসআই মিলটন কুমার দেবদাস বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওবায়দুরের পিছু নিই আমরা। তার সর্বশেষ অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের ষোলোশহরে ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পেছনের বস্তিতে। নানা কৌশল প্রয়োগ করে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ওই দলকে মাঠে নামাই। পুলিশের আন্তরিকতা ও দক্ষতার কারণে দ্রুততম সময়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।’
গত শনিবার ভোরে লোহাগড়ার ওই ছাত্রীর ওপর দুই বখাটে হামলা চালায়। হামলার শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা দীননাথপাড়ার ওবায়দুর রহমান (২০) ও কাবুল জমাদ্দারের (২৫) বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। কাবুলকে শনিবার দুপুরেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওবায়দুর দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ওবায়দুরের সহযোগী কাবুল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওবায়দুর দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। শনিবার ভোরে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। রাস্তায় বখাটে ওবায়দুর ও তাঁর সহযোগী কাবুল ছাত্রীর পথরোধ করেন। ওবায়দুর তাঁকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে ওবায়দুর তাকে বেধড়ক হাতুড়িপেটা করেন এবং কাবুল কিল-ঘুষি মারেন।
এমআই