টেকনাফের পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত ১

টেকনাফের পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত ১

কক্সবাজারের টেকনাফের পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে মোহাম্মদ উল্লাহ প্রকাশ সোনা মিয়া (৪১) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে এবং রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী-ডাকাত আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের সহযোগী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের ভাষ্যমতে, নিহত ব্যক্তি একজন ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, নারী-নির্যাতন ও অপহরণসহ ৭টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় অস্ত্র (এলজি), ১১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল জুলিয়া নুর ও মোহাম্মদ মোস্তফা আহত হয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, রাতেই টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের সহযোগী মোহাম্মদ উল্লাহ ওরফে সোনা মিয়াকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে, মধ্যরাতে হ্নীলার উলুচামারী পাহাড়ের পাদদেশে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের অন্যান্য সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে সহকারী উপ-পরিদশক (এএসআই) সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল জুলিয়া নুর ও মোহাম্মদ মোস্তফা আহত হন। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দু’দলের গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে মোহাম্মদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে একটি দেশীয় এলজি, ১১ রাউন্ড তাজা গুলি, ১৩ রাউন্ড খোসাসহ গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ উল্লাহকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ভোররাতে পুলিশ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরমধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য। অপরজন সাধারণ মানুষ। তার শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সকালে পুলিশের তিনজন সদস্যকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে ভোররাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।