টেকনাফে গ্রেপ্তারের পরদিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত

টেকনাফে গ্রেপ্তারের পরদিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রেপ্তারের পর অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী।

শনিবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা রঙ্গীখালীর গাজী পাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার গ্রামের দিল মোহাম্মদ ওরফে ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন ওরফে নুর হাফেজ (৩২) ও হ্নীলার সাব্বির আহম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৬)। নুর হাফেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগি।

এর আগে শুক্রবার ভোরে নিহত দুজনসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে ৮ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্রসহ আটক করেছিল র‌্যাব-১৫।

শনিবার সকালে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস মুঠোফোনে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশের ভাষ্য, ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আটক নুর হাফেজ ও সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র সংরক্ষিত আছে। পরে শনিবার ভোরে পুলিশের একটি দল তাদের নিয়ে হ্নীলা রঙ্গীখালীর গাজী পাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে এলাকায় অভিযানে যায়। সেখানে তাদের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিতে গুলি ছুঁড়ে এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। পরে মাদক কারবারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি দেশিয় অস্ত্র, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৮টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুর হাফেজ ও সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, মাদক অভিযানে গোলাগুলিতে দুই শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবসহ আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যরা নিয়ে আসেন। তাদের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে এবং আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।