করোনা সন্দেহে চিকিৎসককে না নিয়েই উড়াল দিলো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

করোনা সন্দেহে চিকিৎসককে না নিয়েই উড়াল দিলো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে না নিয়ে ঢাকায় ফিরে এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।

গতকাল রবিবার বিকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হাসপাতালের পাশে বহুতলা কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। ওই চিকিৎসকের নাম আবু জাফর রুমি হোসেন (৩৭)। তার স্ত্রী চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজের প্রভাষক।

জানা গেছে, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হাসপাতালের পাশে বহুতলা কলোনি মাঠে অবতরণ করে। এ সময় শত শত উৎসুক মানুষ সেখানে ভিড় করেন। তাদের সন্দেহ হয় ডা. রুমি হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত! পরে ওই চিকিৎসককে না নিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে আকাশে উড়াল দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ বলেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে চারদিন আগে ডাক্তার আবু জাফর রুমি হোসেন হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে একদিন তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়।

তিনদিন আগে আসা সেই রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি করোনায় আক্রান্ত নন। তার অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন যে তাকে সড়ক পথে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সেযোগে পাঠানো সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ডের পরামর্শে তাকে এয়ার অ্যাম্বেুলেন্স যোগে ঢাকায় পাঠানোর জন্য ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় ইমপ্রেসের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়। কিন্তু এয়ার অ্যাম্বেুলেন্সটি রুমিকে না নিয়ে ঢাকায় ফিরে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইমপ্রেস কর্তৃপক্ষের নানা সমালোচনা করতে থাকেন সারা দেশের ডাক্তার ও সাধারণ মানুষ। তারা প্রশ্ন করেন, একজন চিকিৎসক হাজারো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। আর তাকেই কীভাবে ফেলে আসা হলো।

চিকিৎসক আবু জাফর রুমি হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা।