বড় অংকের ঋণ জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে বের করে নেয়া টাকা আর ফেরত আসছে না। ফলে ওইসব ঋণ এখন খেলাপি হয়ে যাচ্ছে।
কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সহায়তায় যেসব বড় জালিয়াতি হয়েছে সেগুলোও এখন খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে।
বড় অংকের একটি ঋণ খেলাপি হলেই ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে পাগলা ঘোড়ার গতিতে। এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানের কারণেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। যা সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ প্রক্রিয়ায় হু-হু করে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়াই এখন ব্যাংকিং খাতে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া জনতা ব্যাংকের মতো সরকারি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ কিনে নেয়ার মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ওই প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় বড় অংকের ঋণও দিয়েছে। অথচ সরকারি খাতে এ ব্যাংকটি খেলাপি ঋণে জর্জরিত।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১০ বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে ঋণ অবলোপন তো আছেই। ব্যাংক বিশ্লেষকদের ভাষায় যা ঋণ জালিয়াতির চেয়েও কম ভয়াবহ নয়। যে ঋণ একেবারে আদায় করা সম্ভব হয় না, তা রাইট অফ বা অবলোপন মোট ঋণের পরিসংখ্যান খাতা-কলমে কম দেখানো হয়। গত কয়েক বছর থেকে প্রভাবশালীরা এর সুযোগ নিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের এক শ্রেণীর পরিচালক একে অন্যের ব্যাংক থেকে সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগাভাগি করে বড় অংকের ঋণ নিয়ে থাকে। যার বেশিরভাগই ভুয়া ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরে যা অবলোপন করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে জাল-জালিয়াতির প্রবণতা কমাতে হলে বড় অংকের ঋণের ওপর তদারকি বাড়াতে হবে। এসব ঋণ যাতে খেলাপি না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। কেননা একটি প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের ঋণ খেলাপি হলে এর বহুবিদ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যাংকের ওপর। ঋণটি যদি একক কোনো ব্যাংকের হয় তবে ওই ব্যাংকটি বিপাকে পড়ে। তাদের খেলাপি ঋণ বহুলাংশে বেড়ে যায়। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো ব্যাংকিং খাতের ওপর। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, বড় অংকের ঋণে যাতে জাল-জালিয়াতি না হতে পারে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর তদারকি করে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক বিভাগ ও ব্যাংকগুলো তদারকি করে। এটি তাদের অন্যতম রুটিনওয়ার্ক। কিন্তু তারপরও কিভাবে ব্যাংকে বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে সেটি দেখার বিষয়। তিনি মনে করেন, এর সঙ্গে নিশ্চয় ব্যাংকাররা জড়িত। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকির অভাব তো অনস্বীকার্য।
তিনি আরও বলেন, বড় অংকের একটি ঋণখেলাপি হলে মোট খেলাপি ঋণও বাড়বে বড় অংকে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকও বিপদে পড়তে পারে। এ ধরনের ঘটনা বেশি হলে খেলাপিও বেশি হবে। তখন দেশে-বিদেশে দেশের ব্যাংকিং খাতের দুর্নাম হবে। এলসি নিতে চাইবে না বিদেশি ব্যাংক। তখন তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি দিতে হবে। এতে ব্যবসা খরচ বাড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণ আদায় বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়মিত বিষয়টি তদারকিও করা হচ্ছে। যারা ঋণ আদায় করতে পারছে না তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে আলোচিত কয়েকটি বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে হলমার্ক গ্রুপ, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, ক্রিসেন্ট গ্রুপ, এসএ গ্রুপ, সিটিসেল, সানমুন গ্রুপ, নুরজাহান গ্রুপ ও অলটেক্স গ্রুপ।
শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংককেও বড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকার ও গ্রাহক মিলে এসব জালিয়াতি করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। এসব গ্রুপ ও ব্যাংকে জালিয়াতির মাধ্যমে যেসব অর্থ বেরিয়ে গেছে সেগুলোর বেশির ভাগই খেলাপি হয়ে গেছে। যে কারণে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ হু-হু করে বেড়ে যাচ্ছে।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। ওই ১০ বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৬ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে ৩৪২ শতাংশ বা প্রায় সাড়ে ৪ গুণ। এর মধ্যে বড় বড় জালিয়াতির কারণেই সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। আরও প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকার কুঋণ অবলোপন করা হয়েছে। এসব মিলে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরেও আরও অনেক ঋণ রয়েছে যেগুলো খেলাপি হওয়ার যোগ্য, কিন্তু ব্যাংকগুলো খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করছে না। খেলাপি ঋণের এ বিরাট বোঝার কারণে ব্যাংকিং খাত মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয়ের এ দায় বিদায়ী অর্থমন্ত্রী এড়াতে পারেন না। তিনি শক্তভাবে ব্যবস্থা নিলে ব্যাংকগুলো এমন দুরবস্থার মুখোমুখি হতো না।
এদিকে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়ায় তাদের মূলধন ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয়। যে কারণে সুদের হার কমানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী যুগান্তরকে বলেন, জালিয়াতির কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এতে বাড়ছে ঋণের সুদ। জালিয়াতি যারা করছে তাদের কিছুই হচ্ছে না। অথচ সুদের কারণে তো খরচ বাড়ছেই। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রয়েছে নানা ধরনের চার্জ। এসব কারণেও খরচ বাড়ছে।
এদিকে বুধবার আদালত থেকে ১ কোটি টাকার বেশি ঋণখেলাপিদের ঠিকানাসহ তালিকা চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। একই সঙ্গে বিদেশে অর্থ পাচার এবং সেগুলো ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে। এছাড়াও গত ২০ বছরে ব্যাংকিং খাতে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ বিতরণে অনিয়ম, সুদ মওকুফ সংক্রান্ত অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকার ঋণ জালিয়াতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে নতুন কেলেঙ্কারি করার মতো সাহস আর কেউ পাবে না। তখন এমনিতেই জালিয়াতি বন্ধ হয়ে যাবে। জালিয়াতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় নতুন নতুন জালিয়াতি হচ্ছে। এতে ব্যাংকিং খাতের ভিত্তি আরও নড়বড়ে হচ্ছে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। এর বাইরেও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
সূত্র জানায়, সরকারি খাতের সোনালী ব্যাংকসহ ২৬টি ব্যাংকে হলমার্ক গ্রুপ ঋণ জালিয়াতি করেছে। এর মাধ্যমে তারা ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। যার পুরোটাই এখন খেলাপি হয়ে গেছে। সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ খেলাপির তালিকায় হলমার্কের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সুদসহ এর পরিমাণ আরও বেশি।
জনতা ব্যাংকসহ ৫টি ব্যাংকে ঘটেছে বিসমিল্লাহ গ্রুপ জালিয়াতি। এ গ্রুপের জালিয়াতি করা ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি। এর সঙ্গে সুদ যোগ হয়ে খেলাপির পরিমাণ আরও বেড়েছে। ফলে এদের কারণে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকে ক্রিসেন্ট গ্রুপের ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার নিট ঋণ এখন পুরোটাই খেলাপি। এছাড়াও তাদের সরকারি বিকল্প নগদ সহায়তাসহ পরোক্ষ ঋণ রয়েছে। আরও একটি গ্রুপের নামে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে ১৭৫ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে জনতা ব্যাংক ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কিনেছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। সেগুলোও এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এসব মিলে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে লাগামহীন গতিতে। ২০১৭ সালে তাদের খেলাপি ঋণ ৫ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। গত বছরে তা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। ১ বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। বড় কয়েকটি গ্রুপ খেলাপি হওয়ায় তাদের এ ঋণ বেড়েছে। যে কারণে ব্যাংকটি বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চট্টগ্রামভিত্তিক এসএ গ্রুপ ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে জালিয়াতির মাধ্যমে। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খেলাপি। এসব ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর হাতে পর্যাপ্ত জামানত নেই। ফলে পুরো ঋণই এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।
একটি সরকারি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ কর্পোরেট শাখা ও মহিলা শাখায় জালিয়াতির মাধ্যমে নেয়া ঋণের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
এবি ব্যাংকের গ্যারান্টিতে বেসরকারি খাতের ১২টি ব্যাংক থেকে সিটিসেল ভুয়া জামানত দিয়ে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এসব ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি। সিটিসেলকে গ্যারান্টি দিয়ে এবি ব্যাংক এখন বিপাকে পড়েছে।
একটি সরকারি ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংক থেকে সানমুন গ্রুপ ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। যার পুরোটাই এখন খেলাপি।
চট্টগ্রামের নুরজাহান গ্রুপ ২২টি ব্যাংক থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। যার পুরোটাই এখন খেলাপি।
একটি সরকারি ব্যাংক থেকে অলটেক্স গ্রুপ ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করছে না। ফলে পুরো ঋণই এখন খেলাপিতে রূপ নিয়েছে।
দেশের প্রথম ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বেসিক ব্যাংকে। জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ। এর মধ্যে কিছু ঋণ নবায়ন করা হলেও সেগুলো আবার খেলাপি হয়ে গেছে। এসব কারণে ব্যাংকের জালিয়াতির পুরো অর্থই এখন খেলাপি। এ জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ সাবেক এমডি, ডিএমডি, জিএমসহ অনেক কর্মকর্তা জড়িত।
ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে দুটি গ্রুপ জালিয়াতি করে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। যার পুরোটাই এখন খেলাপি। ব্যাংকের পরিচালকদের চাপে এসব ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ব্যাংকে আরও ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি খাতের ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালকরা ৫০০ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। ওইসব ঋণ এখন খেলাপি।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে পরিচালক ও ব্যাংকার মিলে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সেগুলোও এখন খেলাপি।
কেন্দ্রীয় ব্যংক সূত্র জানায়, বড় অংকের খেলাপিদের নিয়েই এখন বড় দুশ্চিন্তা। এদের একটি কাঠামোর মধ্যে এনে ঋণ আদায়ে জোর তৎপরতা চালানোর দিকে নজর রাখছে তারা। অচিরেই এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হবে। যেসব ব্যাংক ঋণ আদায় করতে পারছে না তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। বড় অংকের বা শীর্ষ ২০, ৫০ বা ১০০ খেলাপিকে বিশেষভাবে তদারকি করা হচ্ছে। এটি আরও বাড়ানো হবে।-যুগান্তর