চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা (৫৪ বিলিয়ন ডলার) অর্জনে ব্যাংক ঋণ সহজলভ্য করা এবং ঋণের সুদহার হ্রাসের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। একইসঙ্গে নীতি সহায়তা, বন্দরের দক্ষতা ও সেবার মান বৃদ্ধি প্রয়োজন বলেও মনে করে সংগঠনটি।
এফবিসিসিআই বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের অর্জনের তুলনায় ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। বর্তমান বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি, সরকারের বাণিজ্য সহায়ক নীতি, রফতানিকারকদের সরবরাহ দক্ষতা ও কারখানার নিরাপত্তা পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে উৎপাদন ব্যয় কমানো ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে রফতানি উন্নয়ন তহবিলসহ (ইডিএফ) ব্যাংক সুদহার হ্রাস, বেসরকারি খাতে সহজলভ্য ঋণপ্রবাহ, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের ক্ষেত্রে সব ধরনের নীতি সহায়তা, চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব বন্দর, এয়ারপোর্ট প্যাসেঞ্জার এবং কার্গো অপারেশন ও ব্যবস্থাপনা, মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি, ট্রেড লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা ও সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ রফতানি নীতিতে উল্লিখিত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বৈদেশিক বাণিজ্যকে সহায়তার লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে বাণিজ্য সহায়ক (ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন) কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস ও রফতানি উন্নয়নের স্বার্থে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
এ বছর নতুন ১৩টি পণ্য রফতানির আয়ের বিপরীতে ‘নগদ সহায়তা’ দেয়ার সিদ্ধান্ত এবং তৈরি পোশাক খাতকে সহায়তা ও পণ্য বহুমুখীকরণ করা গেলে আরও উচ্চ রফতানি অর্জনে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের সব সুবিধা ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা কাম্য।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের সার্বিক রফতানি (পণ্য ও সেবা) আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। শুধু সেবা খাতে রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, যা আশাব্যঞ্জক। রফতানি প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে এবং সব ধরনের নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা হলে ২০২১ সালের মধ্যে রফতানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণ সম্ভব।
এমআই